বরগুনার আমতলী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিএম মূসা ও তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও গণশিক্ষা-বিষয়ক সম্পাদক মো. রেজাউল করিম বরগুনার আদালতে ওই মামলা করেন।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আদালতের বিচারক মো. নোমান মঈনদ্দিন গতকাল মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গণ্য করতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
এজাহারের বিবরণ অনুযায়ী, জিএম মূসা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভার প্যানেল মেয়র হওয়ার পর চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করে বেড়ান। সম্প্রতি জিএম মূসা বাদীর (রেজাউল করিম) কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। প্রথমে তিনি তেমন গুরুত্ব দেননি। গত রোববার রাত নয়টার দিকে তিনি ঠিকাদারি কাজের জন্য এক লাখ টাকা নিয়ে পৌরসভায় প্রকৌশলীর দপ্তরে যান।
প্রকৌশলীর দপ্তর বন্ধ পেয়ে ফিরে আসার সময় মূসা ও তাঁর দুই সহযোগী পৌরসভা কার্যালয়ের সিঁড়ির নিচে তাঁর কাছে পুনরায় দুই লাখ টাকা চাঁদা চান। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মূসা ও তাঁর দুই সহযোগী তাঁকে কিল, ঘুষি, লাথি মারতে থাকেন। এ সময় মূসা পিস্তল ঠেকিয়ে তাঁর পকেটে থাকা এক লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জিএম মূসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে আমিও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজি মামলা করেছি।’
আমতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায় বলেন, রেজাউল করিম ও জিএম মূসা উভয়েই পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে
কারোর অভিযোগই মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়নি।
গত মঙ্গলবার প্রথম আলোতে ‘প্যানেল মেয়রের বিরুদ্ধে আ.লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন ছাপা হয়।