গ্রেপ্তারের পর আসামি মজনু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন বলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব জানিয়েছে। র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি বলেছেন, ৫ জানুয়ারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে তিনি বিমানবন্দর সড়ক ধরে হাঁটছিলেন। এ সময় পিঠে ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছিলেন ওই ছাত্রী। তাঁকে পেছন থেকে জাপটে ধরে ঝোপের দিকে টেনে নিয়ে যান মজনু। এরপর ছাত্রীটিকে ঘুষি, চড় মারতে থাকেন এবং গলা চেপে ধরে হত্যার হুমকি দেন।
এ অবস্থায় ছাত্রীটি পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তাঁর যখন চেতনা ফিরে আসে, তখন তিনি সুযোগ বুঝে মজনুর কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পালাতে সক্ষম হন।
র্যাব বলছে, ধর্ষণের পর প্রাণভয়ে ওই ছাত্রী ছুটে রাস্তার মাঝখানে চলে যান। কিন্তু সড়ক বিভাজক থাকায় পার হতে পারেননি। ব্যস্ত সড়কে তিনি প্রাণ হারাতে পারতেন। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর উড়ালসড়ক দিয়ে রাস্তা পার হয়ে রিকশা নেন। অন্যদিকে আসামি মজনু ওই রাতেই ছাত্রীটির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মুঠোফোনটি বিক্রি করে নরসিংদী চলে যান। পরে আবার ফিরে আসেন। গত মঙ্গলবার দিনভর মজনু বনানী রেলস্টেশন এলাকায় ছিলেন।
আসামি মজনুকে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবির কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। ডিবির (উত্তর) উপকমিশনার মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করবেন। এ জন্য বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। যদি দরকার হয় পুলিশ আসামিকে শনাক্তকরণ প্যারেড করাবে।