আ.লীগ নেতা জাহিদুল হত্যার দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মুসা

সুমন সিকদার ওরফে মুসা
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (টিপু) হত্যাকাণ্ডে দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সুমন সিকদার ওরফে মুসা।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে গত শুক্রবার তিনি এই জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) শওকত আকবর আজ রোববার প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এই খুনের মামলায় তৃতীয় দফায় সুমন সিকদারকে আদালতে তুলে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার। পরে আদালত আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সুমন সিকদার হত্যা পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার অপর পলাতক আসামি মোল্লা শামীমের জড়িত থাকার কথাও আদালতকে বলেছেন তিনি।

গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলা মসজিদ এলাকায় এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম। সে সময় ঘটনাস্থলে রিকশায় বসে থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন ওরফে প্রীতিও (২২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এর মধ্যে দেশ থেকে পালিয়ে যান সুমন সিকদার। ৯ জুন তাঁকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।

এ মামলায় ১০ জুন থেকে সুমন সিকদারকে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দা পুলিশ। সুমন সিকদারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাহিদুল হত্যায় অস্ত্র সরবরাহে জড়িত সন্দেহে ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু ও গুলি সরবরাহে জড়িত সন্দেহে মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুর রহমান ও পল্টনের সন্দেহভাজন অস্ত্র ব্যবসায়ী ইমরান আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতে এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সুমন সিকদার প্রাথমিকভাবে জাহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার অপর আসামি শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ ও নাসির উদ্দিনের স্বীকারোক্তিতে তাঁর নাম উঠে এসেছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, তিন থেকে চার মাস আগে জাহিদুল হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশ-প্রকাশ গ্রুপের অন্যতম খুনি সুমন সিকদারের সঙ্গে ১৫ লাখ টাকার চুক্তি করেন মতিঝিল ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক। এর মধ্যে প্রথমে মুসাকে ৯ লাখ টাকা দেন তিনি।