ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ছাত্রকে শাসন করতে থাপ্পড় মারায় মাদ্রাসার এক শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই মাদ্রাসার শিক্ষক বর্তমানে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ওই শিক্ষকের নাম আসলাম মোল্লা (৩৫)। তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রাম শাহ্ আরজানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক এবং মাদ্রাসাসংলগ্ন জামে মসজিদের পেশ ইমাম।
ওই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এবং আহত শিক্ষকের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ওই মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের এক ছাত্র (১২) দেরিতে মাদ্রাসায় আসে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে শাসন করতে শিক্ষক আসলাম তাঁকে দুটি থাপ্পড় মারেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আসলাম মাদ্রাসায় বসে ছিলেন। এ সময় ওই ছাত্রের মামা গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের বাসিন্দা আরিফ সিকদারের (৩৫) নেতৃত্বে একদল তরুণ আসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় আসলাম চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী আহত অবস্থায় আসলামকে আলফাডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। তবে সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ওই ছাত্রের বাবা আশরাফ সিকদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষক আসলামের ওপর হামলা একটি অন্যায় কাজ। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে আমি বলেছি এ হামলার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার করব।’
আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, জাটিগ্রামে মাদ্রাসাশিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনাটি তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন। এরপর ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।