কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মইনুদ্দিন বিশ্বাস (৬০)। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানার বাবা।
স্থানীয় সূত্র, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তাফার সঙ্গে একই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হায়দারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে আগেও কয়েকবার পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশের মধ্যস্থতায় তার মীমাংসাও হয়েছে। তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে ফের তাদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সকাল ছয়টার দিকে গোলাম মোস্তাফার লোকজন আলী হায়দারের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন মইনুদ্দিন।
আহত মইনুদ্দিনকে সকাল সোয়া আটটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাকিল হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই মইনুদ্দিনের মৃত্যু হয়।
মইনুদ্দিনের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা জুয়েল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান আলী হায়দার তাঁদের আত্মীয়। তাঁরা বাবা চেয়ারম্যানের পক্ষের লোক। সংঘর্ষের একপর্যায়ে তাঁর বাবা গ্রামের বটতলা এলাকায় একা হয়ে পড়েন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ঘটনার বিষয়ে গোলাম মোস্তাফা ও আলী হায়দারের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।