১০ মাস কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
কিশোরের শারীরিক জখম পরীক্ষা করতে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে।
কিশোরের বড় ভাই আহসান কবির আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, একটি বেসরকারি হাসপাতালে কিশোর চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সেখান থেকে আদালতের নির্দেশে আজ ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক এসেছেন।
আদালতের নির্দেশনা তিনি পেয়েছেন। এখন পরিচালক সিদ্ধান্ত নেবেন, কিশোরকে কোন কোন চিকিৎসক দেখবেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বন্দী কিশোর ৪ মার্চ জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিন দিন আগে তাঁর কানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিশেষ ধরনের হিয়ারিং এইড বসানো হয়।
মুক্তি পাওয়ার পর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে ১৪ মার্চ মামলা করেন কিশোর। তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করে তা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে কিশোরের শারীরিক জখমের ঘটনাটি কবেকার, এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ জন্য তিন সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।