আটক হননি বাসের চালক ও সহকারী

লুসাই পরিবহনের এই বাসটি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয় রেজাউলকে। কালিরহাট, সিটি গেট এলাকা, চট্টগ্রাম নগর, বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট, ২৭ আগস্ট। ছবি: জুয়েল শীল
লুসাই পরিবহনের এই বাসটি থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয় রেজাউলকে। কালিরহাট,  সিটি গেট এলাকা, চট্টগ্রাম নগর, বিকেল ৩টা ৪০ মিনিট, ২৭ আগস্ট। ছবি: জুয়েল শীল

চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে রেজাউল করিম নামের যুবককে হত্যার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়নি লুসাই পরিবহন নামের বাসটির চালক ও সহকারী।

চালকের সহকারীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে গতকাল সোমবার দুপুরে নগরের সিটি গেট এলাকায় চলন্ত বাস থেকে রেজাউলকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয় বলে অন্য যাত্রী এবং স্বজনেরা অভিযোগ করেন। যাত্রীরা গড়ি থামতে বললেও চালক ও সহকারী শোনেনি। যাত্রীদের চাপে কিছু দূর গিয়ে রাস্তায় বাসটি রেখে পালিয়ে যান চালক ও সহকারী।

রেজাউলের ময়নাতদন্ত চলছে বলে জানান আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন। তিনি বলেন, লাশ দাফন শেষে পরিবারের লোকজন মামলা করতে আসবেন। চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। রেজাউলের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বাস থেকে পড়ে আঘাত পেয়েছেন।

নিহত রেজাউল করিম (৩৫) সিটি গেট এলাকার মো. ওয়ালি উল্লাহর ছেলে।

সংশ্লিষ্ট লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রেজাউল সকালে বাঁশবাড়িয়া যান। সেখানে থেকে ফিরতি পথে ভাটিয়ারি নামেন। রেজাউল করিম ৪ নম্বর বাসযোগে ভাটিয়ারি এলাকা থেকে সিটি গেট এলাকায় ফিরছিলেন।

এর আগে গত ২২ জুলাই চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার এলাকায় বেকারিকর্মী আমানউল্লাহর ওপর দিয়ে ট্রাক তুলে দেন চালক। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আমানউল্লাহ। ট্রাক ধাক্কা দেওয়ার উপক্রম করলে তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। এই ছিল তাঁর দোষ। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জাকের হোসেন বাদী হয়ে নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। গ্রেপ্তার হওয়া চালক একরাম খান পরে জামিনে মুক্তি পান।
আগের দিন ২১ জুলাই ঢাকায় যাওয়ার পথে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাইদুর রহমান পায়েলকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া এলাকায় বাস থেকে ফেলে দেওয়া হয়। তাঁর বাড়িও চট্টগ্রামের হালিশহরে।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলনের পরও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরেনি। উল্টো পরিবহনশ্রমিকদের দাপট চলছে দেশজুড়ে।