নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় আটক তরুণকে ছাড়িয়ে আনতে পুলিশ কর্মকর্তা মো. মামুনকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ। বুধবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলায় পুলিশের গোপালদী তদন্তকেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার মো. মামুন গোপালদী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সহকারী টাউন উপপরিদর্শক (এটিএসআই)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন চার পুলিশ সদস্য।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষার্থী দিদার ইসলামকে সন্দেহবশত গোপালদী বাজারের কলেজ রোড থেকে আটক করে পুলিশ। এ খবর পেয়ে গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুজয় সাহা তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে গোপালদী তদন্তকেন্দ্রে যান। এ সময় পুলিশ দিদার ইসলামকে ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে সুজয় পুলিশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এটিএসআই মো. মামুন প্রতিবাদ করলে সুজয় ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন। এ সময় সুজয় মুঠোফোনে কল দিলে মুহূর্তের মধ্যে ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এসে পুলিশের ওপর হামলা চালান। পরে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে সঙ্গে করে ঘটনাস্থলে গিয়ে সুজয় ও দিদারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় এটিএসআই মো. মামুন, কনস্টেবল আবুল বাশার ও ইমরান আহত এবং অপর এক পুলিশ সদস্য আহত হন। তাঁরা আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন।
গোপালদী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ আপন বলেন, ‘দিদার ইসলাম এইচএসসি পরীক্ষার্থী। কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ তাকে আটক করে। সে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। তাকে ছাড়িয়ে আনতে তদন্তকেন্দ্রে গেলে পুলিশ সুজয়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।’
গোপালদী তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে গোপালদী কলেজ রোড এলাকায় বখাটের উৎপাত বেড়েছে। তাই সেখানে পুলিশ ডিউটি বাড়ানো হয়েছে। ডিউটি অবস্থায় পুলিশ একটি মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখে দিদারকে আটক করে তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে আসে। যদি সে নির্দোষ হয়, তবে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে সুজয় ও তাঁর সহযোগীরা তদন্তকেন্দ্রে এসে হামলা চালান।