সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঞাকে পালাতে সহায়তা করায় এক এসআইকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর নাম হাসান উদ্দিন। তিনি পুলিশ ফাঁড়ির 'টু-আইসি' পদে কর্মরত ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেন ভূঞাকে ফাড়ি থেকে পালাতে সহায়তা করা ও তথ্য গোপনের অপরাধে এসআই হাসান উদ্দিনকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।'
যোগাযোগ করলে সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আকবরের পলাতক থাকার বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে হাসানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ অক্টোবর রাতে নেহারিপাড়ার বাসিন্দা রায়হানকে কোতোয়ালির বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরের দিন ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর রাতে কোতোয়ালি থানায় নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।
মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ১২ অক্টোবর বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঞাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে। ওই দিন থেকে আকবর পলাতক আছেন। এ নিয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১৩ অক্টোবর হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে দায়ের করা মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) স্থানান্তর হয়। মঙ্গলবার মহানগর পুলিশ হেফাজতে থাকা বরখাস্ত চারজনের একজন কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পিবিআই। পলাতক আকবরসহ নির্যাতনে জড়িতদের সম্পর্কে টিটুকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।