চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় সোনালী ব্যাংক উথলী শাখায় প্রায় ৯ লাখ টাকা লুটের ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশের খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন ও ক্রাইম) এ কে এম নাহিদুল ইসলাম এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও উদাসীনতাকে প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন।
এ কে এম নাহিদুল ইসলাম রোববার রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে জেলার পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) আবু রাসেল, জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত এই ব্যাংকে ন্যূনতম নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বাজারে যেখানে ব্যাংকটির অবস্থান এবং যে ভবনে কার্যক্রম পরিচালিত হয়; সেটি আদৌ ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান চালানোর উপযোগী নয়। নিরস্ত্র যে আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা নিরাপত্তা বিষয়ে কতটা পারদর্শী, সেটাও একটি বিষয়। এখানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও উদাসীনতা পরিলক্ষিত হয়েছে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। সেখানে এ ধরনের ঘটনা আমাদের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা অচিরেই আসামি ধরতে পারব। আমার ধারণা, এই জেলার মধ্যেই অপরাধীদের অবস্থান। লুট হওয়া টাকা পুরোটা উদ্ধার করতে না পারলেও বেশির ভাগই উদ্ধার করতে পারব।’
সোনালী ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) খন্দকার আবদুস সালাম এ বিষয়ে বলেন, ‘নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে ব্যাংক পরিচালনা পরিষদের প্রতি নিরাপত্তার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকতে হবে। যেমন বর্তমানে সবখানে ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ বিষয়টি বাস্তবায়িত হয়েছে। তেমনি ব্যাংকে নিরাপত্তার জন্য নিশ্চয় ভালো কিছু হবে।’
এদিকে সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আবু বকর সিদ্দিকী বাদী হয়ে রোববার রাতে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। তবে এ ঘটনায় পুলিশ আজ সোমবার সকাল ১০টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আবু রাসেল প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পর থেকে লুটের টাকাসহ দুর্বৃত্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।