চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন সরদার দুজনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানাবেন বলেও তিনি প্রথম আলোকে জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি টুকরা করে দুটি বস্তায় ভরে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, এর আগে শিমু নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে রাজধানীর কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছিল। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
এদিকে শিমু গত রোববার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হন বলে স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ওই দিন রাতে কলাবাগান থানায় জিডি করেন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক মো. বিপ্লব হাসান আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, শিমুর স্বামী রোববার দিবাগত রাতে জিডি করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে শিমু কাউকে কিছু না জানিয়ে বের হন। এর পর থেকে তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল শিমুর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।
এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি। মামলা কলাবাগান থানায় নাকি কেরানীগঞ্জে হবে, তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
শিমুর বোন ফাতিমা নিশা প্রথম আলোকে বলেছেন, এখনো মামলা হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর বোনজামাই ও বোনজামাইয়ের এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলছে। এখনো হত্যার কারণ সম্পর্কে তারা কিছু বুঝতে পারছে না।