স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, অবৈধভাবে আসায় বাংলাদেশেও ৪৯৫ জন আটক হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৭ জনের শাস্তি হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে মানব পাচার প্রতিরোধে ইউএনডিপির সহযোগিতায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত দিনব্যাপী সেমিনারের প্রথম সেশনে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রলুব্ধ হয়ে দেশ থেকে মানব পাচার হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রলুব্ধ হয়ে কেউ যেন দেশ ছেড়ে না যায়, তা নিশ্চিত করতে সবাই মিলে একযোগে কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে করণীয় সবকিছু করবে সরকার। তবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের কারণে প্রলুব্ধ হয়ে পাচারের সংখ্যা কমে আসছে।
মন্ত্রী বলেন, পাচার ঠেকাতে সব আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে। সব জেলায় কমিটি কাজ করছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, পাচারের শিকার হয়ে বিভিন্ন দেশে যারা দু:সহ জীবন যাপন করছে, তাদের মানবাধিকার নিশ্চিত করে ফিরিয়ে আনতে হবে। পাচার ঠেকাতে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। ২০১২ সালে এ সংক্রান্ত আইন হলেও ৭ বছরে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যায়নি, তাই অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এটা দ্রুত করা জরুরি।
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান আইওএম এর বাংলাদেশ মিশনের প্রধান জর্জি গিগাওরি বলেন, কেন, কীভাবে পাচার হচ্ছে তা খুঁজে বের করতে হবে। সবাই মিলেই বাংলাদেশ থেকে এবং বিশ্ব থেকে মানব পাচার বন্ধ করতে হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন সাংসদ নাহিম রাজ্জাক, ভারতের এটিএসইসি এর জাতীয় সমন্বয়কারী ও মহাসচিব মানবেন্দ্র নাথ মণ্ডল। সেমিনারটি চারটি ভাগে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে।