সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পলাতক ইনচার্জ এসআই (বরখাস্ত) আকবর হোসেন ভূঁঞাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ডোনা এলাকা থেকে তাঁকে জেলা পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে।
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভারতে পালানোর সময় তাঁকে দুপুর দেড়টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে আকবরের গ্রেপ্তার বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।
তবে সীমান্ত এলাকার অন্য একটি সূত্র জানায়, আকবর কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তের ওপারে খাসিয়া পল্লিতে বসবাস করছিলেন। খাসিয়ারা কৌশল করে তাঁকে বাংলাদেশে পাঠালে পুলিশ খবর পেয়ে গ্রেপ্তার করে।
ডোনা সীমান্তের দুজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তারের সময় আকবর আগ বাড়িয়ে পুলিশকে নিজের পরিচয় দেন। এ সময় তাঁর বেশভূষা অনেকটা খাসিয়া পল্লিতে বসবাসকারীদের মতো ছিল। গলায় পুঁতির মালাও দেখা যায়।
সিলেট নগরীর আখালিয়া নিহারিপাড়ার বাসিন্দা রায়হানকে ১০ অক্টোবর রাতে সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরের দিন ১১ অক্টোবর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে নির্যাতন করার সত্যতা পায়। ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা এসআই আকবর হোসেন ভূঁঞাসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়। ১৩ অক্টোবর আকবর পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে গা-ঢাকা দেন আকবর।
পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় মামলাটির তদন্ত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ওপর ন্যস্ত হলে ১৯ অক্টোবর ফাঁড়ির সেন্ট্রি পোস্টে কর্তব্যরত তিনজন কনস্টেবল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে রায়হানকে নির্যাতনের বর্ণনা ও নির্যাতনকরীদের নাম বলেন। রায়হানকে নির্যাতনের মূল হোতা ছিলেন এসআই আকবর।