অন্তর্দ্বন্দ্বে 'আনাইয়া ডাকাত' দলের ৩ জন নিহত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ‘আনাইয়া ডাকাত’ দলের সর্দারসহ তিনজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার ভোরে উপজেলার বাইশারিতে এই লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, ডাকাতি ও অপহরণের টাকা ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে তাঁরা নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন ‘আনাইয়া ডাকাত’ দলের প্রধান আনোয়ার হোসেন ওরফে আনাইয়া, ওই ডাকাত দলের উপপ্রধান আবদুল হামিদ ও তৃতীয় প্রধান বাপ্পি। আনাইয়ার বাড়ি বাইশারি ইউনিয়নের লম্বাবিল, আবদুল হামিদের বাড়ি রামু গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল ও বাপ্পির বাড়ি ঈদগড় ইউনিয়নের ফকিরাকাটা গ্রামে।

স্থানীয় লোকজন ও বাইশারির জনপ্রতিনিধিরা জানান, আজ ভোর পাঁচটার দিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দুরে সাপমারাঝিরি এলাকার দিল মোহাম্মদের রাবারবাগানে গুলির শব্দ শোনা যায়।

বাইশারি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম ঘটনাস্থল থেকে জানান, সকালে রাবারবাগানের শ্রমিকদের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে পুলিশসহ তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে দিল মোহাম্মদের রাবারবাগানের বাগানবাড়িতে তিনজনের লাশ দেখতে পান। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে লাশ শনাক্ত করে পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশের বাইশারি তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক হাবিল ইসলাম বলেন, সকাল আটটায় গুলিবিদ্ধ তিনজনের লাশ পাওয়া গেছে। বাগানবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দেশি তৈরি তিনটি বন্দুক, ছয়টি গুলির খোসা, দুটি তাজা গুলিসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম পাওয়া গেছে।

২২ সেপ্টেম্বর বাইশারি ব্রিকফিল্ড এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ‘আনাইয়া ডাকাত’ দলের উপপ্রধান আনোয়ার বলী নিহত হয়েছিলেন। এরপর দলের উপপ্রধান হয়েছিলেন আবদুল হামিদ।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর শেখ বলেন, আনাইয়া ডাকাত দল বাইশারি, দোছড়ি, রামুর গর্জনিয়া, ঈদড়র ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় ডাকাতি, অপহরণ, হত্যা-গুমের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। তাঁদের গ্রেপ্তারের জন্য বহু চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এবারে তাঁরা ডাকাতির মালামাল ও টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি এবং গোলাগুলি করে নিজেদের গুলিতে নিজেরা নিহত হয়েছেন। ডাকাত দলের অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।