অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠানে পণ্য কেনাবেচার নামে প্রতারণার অভিযোগে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। রোববার বগুড়ার গাবতলী মডেল থানায় মামলাটি করেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন মিয়া।
আসামিরা হলেন নারায়ণগঞ্জ সদরের চাষাঢ়া এলাকার মো. আনোয়ার সাদাত ও ফতুল্লা থানার সজল হোসেন। আদালত রোববার তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার গাবতলী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন ৩০ সেপ্টেম্বর ‘ইউরোকাস.কম’ নামে একটি অনলাইন শপে দুটি বিছানার চাদরের অর্ডার দেন। একই দিন ‘১০০ পারসেন্ট পিওর.কম’ নামের আরেকটি অনলাইন শপে দুটি চাদর ও বেশ কয়েকটি বালিশের কাভারের অর্ডার দেন। সব কটি অর্ডার তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে করেন। ১ অক্টোবর ‘ইউরোকাস.কম’ থেকে সাবিনাকে জানানো হয়, তাঁর পণ্যটি এসএ পরিবহনে পাঠানো হয়েছে। এ সময় সাবিনার পক্ষে এসআই রিপন এসএ পরিবহন থেকে ওই পণ্য নিতে যান। এসএ পরিবহন থেকে ‘ইউরোকাস.কম’–এর পাঠানো পণ্য বুঝে নেন রিপন। পরে প্যাকেট খুলে তিনি দেখেন, সেখানে কোনো বিছানার চাদর নেই। প্যাকেটের মধ্যে শুধু দুই টুকরা কাপড় ভরা আছে। ‘১০০ পারসেন্ট পিওর.কম’–এর পণ্যের অর্ডারের বেলায়ও একই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসএ পরিবহনের লোকজন চালানের কপি দেখে বুঝতে পারেন, ওই অনলাইন শপিং প্রতিষ্ঠান দুটি একই চক্র চালাচ্ছে। এই চক্র নারায়ণগঞ্জ থেকে অনলাইনে সারা দেশে পণ্য কেনাবেচার নামে প্রতারণা করে আসছে। পরে বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশকে অবহিত করা হয়। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ এই চক্রকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। চক্রটি পুলিশের কাছে স্বীকার করে, তারা দীর্ঘদিন ধরেই অনলাইনে পণ্য বিক্রির নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। পরে বগুড়া পুলিশ আসামিদের বগুড়ায় আনে।
সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। অনেক বড় চক্র এর সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তিতে আরও অনেকের নাম উঠে এসেছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, শুধু এ দুটি অনলাইন সাইটই নয়, এ চক্র আরও কয়েকটি অনলাইন সাইটে পণ্য বিক্রির নামে মানুষের সঙ্গে জালিয়াতি করে।