দুর্গাপূজা উদ্যাপনের সময় প্রতিমা ভাঙচুর ও সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সব ধর্মের মানুষের ধর্ম ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা থাকতে হবে। প্রতিবছর পূজা এলেই প্রতিমা ভাঙচুর করার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি ভীতিকর পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করে। এবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদ্যাপন করার জন্য সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, সব ধর্মের মানুষের নিজ নিজ অধিকার থেকে ধর্ম পালনের ও ধর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতা থাকতে হবে। একুশ শতকে এসে দখলদারির রাজনীতি পরিহার করে সবার সমান অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার জন্য সবার প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদ্যাপনের জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। তিনি বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব ভন্ডুল করার জন্য প্রতিবছর সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী নানা অপতৎপরতা চালিয়ে থাকে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ধর্মের দোহাই দিয়ে নানা সাম্প্রদায়িক বয়ানের মাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ তৈরির চেষ্টা করছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অপচেষ্টা প্রতিহত করতে সব নাগরিককেও সচেতন থাকতে হবে।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস রত্না, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক রীনা আহমেদ এবং ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রেহানা ইউনূস। কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধি।
কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আইনজীবী ফাতেমা খাতুন।
প্রসঙ্গত, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে আসন্ন দুর্গাপুজা উদ্যাপনের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মহিলা পরিষদ মঙ্গলবার সব জেলায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।