আজ সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার কারা অধিদপ্তরে গত তিন মাসের কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন
আজ সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার কারা অধিদপ্তরে গত তিন মাসের কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন

কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৭০০ বন্দী এখনো পলাতক: কারা মহাপরিচালক

জুলাই ও আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের সময় দেশের কারাগার থেকে পলাতক ২ হাজার ২০০ আসামির মধ্যে ১ হাজার ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনো ৭০০ আসামি পলাতক রয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ জন হলেন জঙ্গি ও দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। এ তথ্য জানিয়েছেন কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর পুরান ঢাকার কারা অধিদপ্তরে গত তিন মাসের কারাগারের পরিস্থিতি নিয়ে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন বলেন, কারাগার থেকে এখন পর্যন্ত আলোচিত ১৭৪ জন আসামিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১১ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীও মুক্তি পেয়েছেন।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের বলেন, দুর্নীতি-অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে  চার কারা কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আরও কিছু অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত  শেষে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত  ১৯ জুলাই বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুটের ঘটনা ঘটে। এ সময় কারাগারে থাকা ৮২৬ জন বন্দী পালিয়ে যান।

আজ নরসিংদীর কারাগারে এই হামলার ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে ব্রিগেডিয়ার মোতাহের বলেন, নরসিংদী কারাগারে হামলা ও আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় কারাগারটির জেলারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে গাফিলতি পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহের বলেন, কারারক্ষীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই ঘটনাটি বেশি দূর গড়ায়নি। তবে নিশ্চিতভাবে সেখানে  নিরাপত্তার দুর্বলতা ছিল। কারা অধিদপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, যাতে পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।  

কারাগারের লোগোতে নৌকাসহ অন্যান্য জিনিস রয়েছে উল্লেখ করে মহাপরিচালক বলেন, নানা মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তরের লোগো পরিবর্তনে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।