জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও টিকা দেওয়া হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। আজ থেকে দেশব্যাপী টিকাদান শুরু হয়েছে
ছবি: সাজিদ হোসন

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেছেন, করোনা প্রতিরোধের মাধ্যমে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করে তাদের নিরাপদে শিক্ষা দিতে সরকার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সব শিশুকে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। স্কুলেই টিকা পাবে শিশুরা। প্রতিমন্ত্রী সবাইকে জন্মনিবন্ধন করে শিশুকে টিকাদানের জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন।

প্রতিমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষার্থীদেরও করোনার টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন

আজ থেকে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি এবং রাজধানীর ১৫টি বিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এ টিকাদান কর্মসূচি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা দেশে আসে গত ৩০ জুলাই। ওই দিন বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা আসে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা করা হয়েছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের অনুমিত সংখ্যা ২ কোটি ২০ লাখ।