নির্ধারিত সময়ে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহ করতে না পারায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে মামলা করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে বলেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। আজ রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে এখন দেওয়া হচ্ছে তা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে এই টিকা কিনে নিচ্ছে বাংলাদেশ। তবে মার্চ থেকে সেরামের টিকা রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। বাংলাদেশকে নির্ধারিত সময়ে সেরাম সব টিকা দেয়নি। এতে দেশের ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা পাওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। রোববার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে টিকা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। শুধু বাংলাদেশ নয়, অনেক দেশকেই তারা যথাসময়ে টিকা সরবরাহ করতে ফেল করেছে। যে কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মত দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। আমাদেরও চিন্তা করা উচিত, যেহেতু আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যথাসময়ে সরবরাহ করেনি, আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব কি না।’
ফারুক খান বলেন, চার মাস আগে সংসদীয় কমিটি একাধিক উৎস থেকে টিকা আনার চেষ্টা চালাতে বলেছিল। তা কেন হয়নি, কমিটি জানতে চেয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বিভিন্ন কারণে তা হয়নি। এখন একাধিক উৎস থেকে টিকা আনার চেষ্টা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই টিকা আসবে। ভারত থেকেও টিকা আসবে।
বৈঠক শেষে সংসদীয় কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত থেকে টিকা পেতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার সুপারিশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। চীনের টিকার জন্যও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বলেছে কমিটি। বৈঠকে কোভিড-১৯–এর বর্তমান পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বন্ধ রাখার সুপারিশ করে কমিটি।
ফারুক খানের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবদুল মজিদ খান, হাবিবে মিল্লাত এবং কাজী নাবিল আহমেদ বৈঠকে অংশ নেন।