লকডাউন আপাতত সাত দিন, পরে বিবেচনা: প্রতিমন্ত্রী

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আপাতত সাত দিনের লকডাউন দেওয়া হলেও লকডাউনের শেষের দিকে গিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে পরবর্তী বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ শনিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে এ কথা জানিয়েছেন।

এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন কেন, তা জানতে চাইলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আপাতত সাত দিন লকডাউন দিচ্ছি। আশা করছি, এই সাত দিন মানুষকে ঘরের মধ্যে রাখতে পারলে সংক্রমণ রোধ করতে পারব। নয়তো সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে যাবে। মানুষের নানা বিষয় আছে, সেগুলো সাত দিন লকডাউনের শেষের দিকে বিবেচনা করব, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব। আপাতত সাত দিন থাকবে।’

এর আগে লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষদের জন্য বিভিন্ন রকমের সহায়তার ব্যবস্থা ছিল, এবার কী হবে? এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লকডাউন সাত দিনের জন্য সংক্ষিপ্ত হলে..., সেগুলো নিয়েও চিন্তাভাবনা থাকছে। প্রজ্ঞাপন যখন দেওয়া হবে, তখন বিস্তারিত থাকবে। আজ সন্ধ্যার পর হয়তো প্রজ্ঞাপন হতে পারে।’

এর আগে প্রতিমন্ত্রী রাজধানীর বেইলি রোডের বাসা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় বলেন, লকডাউনে জরুরি সেবা দেয়—এমন প্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু খোলা থাকবে। শিল্পকারখানাও খোলা থাকবে। শ্রমিকেরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিফট (পালা করে) অনুযায়ী কাজ করবেন।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আজ সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন থাকবে।

গত ২৯ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পুনরায় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি সেবাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সব অফিস ও কারখানা অর্ধেক জনবল দিয়ে পরিচালনা করা, জনসমাগম সীমিত করা, গণপরিবহনে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।