যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দ্বিতীয় দিনের মতো নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছেন। জাতীয় জরুরি অবস্থার মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীর এভাবে আইসিইউতে স্থানান্তর হওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। তাঁর সুস্থতার জন্য সবাইকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছে ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান।
আজ বুধবার এএফপির খবরে জানানো হয়, বরিস জনসনকে নিয়ে আজ ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য সান প্রথম পাতায় লিখেছে, ‘তিনি আপনাদের কাজে নিয়োজিত ছিলেন...এখন আপনারা বাড়িতে বসে তাঁর জন্য প্রার্থনা করুন।'
দ্য ডেইলি এক্সপ্রেস লিখেছে, ‘বরিস, এ বিপদ কাটিয়ে উঠবেন।’
যুক্তরাজ্য জুড়ে ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ এখন করোনাভাইরাস আক্রান্ত। মারা গেছেন ছয় হাজার ২০০ জন।
এ মুহূর্তে বরিস জনসনের দায়িত্ব পালনকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সুস্থ হয়ে উঠবেন বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন,‘আমি যদি প্রধানমন্ত্রীর একটি জিনিস জেনে থাকি, তা হচ্ছে তিনি লড়াকু এবং তিনি ফিরে আসবেন। খুব শিগগিরই এই সংকটে আমাদের নেতৃত্ব দেবেন।'
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিস জনসনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে সবশেষ তথ্যে তাঁর মুখপাত্র জানান, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। গভীর পর্যবেক্ষণের জন্য তাঁকে আইসিইউতেই রাখা হয়েছে। এর আগে তিনি জানিয়েছেন, ৫৫ বছর বয়সী কনজারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসনকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। কোনো যান্ত্রিক সহায়তা ছাড়া তিনি শ্বাস নিচ্ছেন।
যুক্তরাজ্যে বরিস জনসন সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তাঁর কাশি ও প্রচণ্ড জ্বর ছিল। ১০ দিন ধরে তিনি ভুগছেন। জাতীয় জরুরি অবস্থার মধ্যে একজন প্রধানমন্ত্রীকে আইসিইউতে স্থানান্তর করার ঘটনা নজিরবিহীন।