ফাইজার ও বায়োএনটেকের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার প্রায় ২৫ লাখ ডোজ এসেছে দেশে। গতকাল রোববার এই টিকার ডোজ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স) উদ্যোগের অংশ হিসেবে এই টিকা এসেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, ১০ জানুয়ারি ফাইজারের টিকার আরও ৪৬ লাখ ডোজ দেশে আসবে। গতকাল এসেছে ২৪ লাখ ৯০ হাজার ৭৮০ ডোজ।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এ পর্যন্ত আটটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে দেশ। এই টিকাগুলো হলো মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, করোনাভ্যাক, ফাইজার, কোভিশিল্ড, স্পুতনিক–ভি, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্ম। এই টিকা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ৩১ কোটি ডোজ আনতে কাজ করছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে গত শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ইতিমধ্যে ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। জানুয়ারি মাসে অন্তত চার কোটি ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে। এতে আশা করা যায়, আগামী এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা যাবে। এদিকে বর্তমানে পাঁচ কোটি টিকা হাতে আছে। আরও ৩১ কোটি টিকা দেশে আনা হবে। তাই টিকার অভাব হবে না। সুরক্ষা অ্যাপে যাঁরা রেজিস্ট্রেশন করেননি, তাঁরাও টিকা নিতে পারবেন। প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্র বা মুঠোফোন নম্বরের মাধ্যমে টিকা দেওয়া হবে।