সরকার টিকাদান পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে। এ পর্যন্ত যে পরিমাণ টিকা পাওয়া গেছে, তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় সরকার। প্রথম দফায় ৩৫ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রথম আলোকে এ কথা বলেছেন।
সরকারের হাতে এখনো ৭০ লাখ টিকা আছে। আগের পরিকল্পনা ছিল এ মাসে ৬০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ এ সংখ্যা ৩৫ লাখে নেমে এল। কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ‘আমরা যে টিকা পেয়েছি, তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাই। আমরা ৩৫ লাখ মানুষের টিকা দেওয়া নিশ্চিত করতে চাই। এরপর আরও টিকা এলে সেভাবে মানুষকে দেওয়া হবে।’
এদিকে করোনার টিকার নিবন্ধন সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের নতুন এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা পেতে প্রত্যেককে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরের মাধ্যমে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে, তাঁদেরও নিবন্ধন নিতে হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ৫৫ বছরের বেশি বয়সী সব নাগরিক নিবন্ধন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার তালিকায় থাকার প্রয়োজন নেই। এর কম বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা অগ্রাধিকার তালিকায় রয়েছেন, কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করতে পারছেন না, তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ই-মেইল করে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর পাঠাতে হবে।
বাংলাদেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। দেশে সংক্রমণ শুরুর দিকে রোগী শনাক্তের হার কম ছিল। গত মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সেটি ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে নতুন রোগীর পাশাপাশি শনাক্তের হারও কমতে শুরু করেছিল। মাস দুয়েক সংক্রমণ নিম্নমুখী থাকার পর গত নভেম্বরের শুরুর দিক থেকে নতুন রোগী ও শনাক্তের হারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে দৈনিক নতুন রোগী শনাক্তের গড় দুই হাজার ছাড়ায়। গত ১০ ডিসেম্বর থেকে নতুন রোগী শনাক্ত এবং শনাক্তের হার কম। চলতি বছরের অধিকাংশ দিন এক হাজারের কম রোগী শনাক্ত হয়েছে।