নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৭ জনের করোনা শনাক্ত, তরুণীর মৃত্যু

করোনাভাইরাস প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৫৭ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। একই সময় জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

করোনায় মারা যাওয়া ওই তরুণীর নাম ছাবিহা আক্তার (২০)। তিনি বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার বাসিন্দা। সোমবার সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৮।

সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার থেকে আজ বুধবার পর্যন্ত জেলার তিনটি করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রে ৪৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত হওয়া ১৫৭ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৫ জন সদর উপজেলার বাসিন্দা।

বাকিদের মধ্যে কোম্পানীগঞ্জে ১৯ জন, বেগমগঞ্জে ৩০ জন, কবিরহাটে ১৩ জন, সোনাইমুড়ীতে ১২ জন, চাটখিলে ১৫ জন, সেনবাগে ১০ জন ও সুবর্ণচরে ৩ জন রয়েছেন। এ দিকে শহরের শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে বর্তমানে ৬৮ জন রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত। আর ২১ জন করোনার উপসর্গ নিয়ে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার প্রথম আলোকে বলেন, সারা দেশেই বর্তমানে সংক্রমণের হার বেশি। তবে লকডাউন শুরুর আগের তুলনায় নোয়াখালীতে সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে। লকডাউন শুরুর আগে জেলায় শনাক্তের হার ছিল ৩৪ থেকে ৩৮ শতাংশের মধ্যে। আজ শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৭৮ শতাংশ। গতকাল ছিল ৩০ শতাংশ। জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। লকডাউনের মাধ্যমে মানুষজনকে যতটা সম্ভব ঘরে আটকে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানিয়েছেন, সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলার নয়টি উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১১২টি মামলায় ৯২ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।