এমন নগরী হয়তো কেউ আগে দেখেনি। যে নগর জেগে থাকে নিত্য কোলাহলে। ভোরের আলো দেখার আগেই রাস্তায় হাজারো গাড়ির শব্দ, সেখানে আজ লাশের সারি। এক দিনে নিউইয়র্ক নগরীর লাশের মিছিলে যোগ হয়েছেন আটজন স্বদেশি। এ ছাড়া মিশিগানের ড্রেটয়েট সিটি ও নিউজার্সির প্যাটারসনে দুই বাংলাদেশি নারীর মৃত্যুসংবাদ পাওয়া গেছে।
নাইন–ইলেভেনের পর এমন নির্মমতার সাক্ষী হবে নিউইয়র্কবাসী, সেটা হয়তো কেউ কল্পনা করেনি। মৃত্যুর মিছিলে এখন বাংলাদেশিরা। বাড়ছে আতঙ্ক, উৎকণ্ঠা। চারদিকে শুধু চাপা কষ্ট, কখন কী হয়ে যায়?
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে আটজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে ২১ বাংলাদেশির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশটিতে সর্বমোট ২৩ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৮ মার্চ মৃত্যু হয়েছে কায়কোবাদ, শফিকুর রহমান মজুমদার, আজিজুর রহমান, মির্জা হুদা, বিজিত কুমার সাহা, মো. শিপন হোসাইন, জায়েদ আলম ও মুতাব্বির চৌধুরী ইসমত। এ ছাড়া মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ড্রেটয়েট সিটি ও নিউজার্সির প্যাটারসনে দুই বাংলাদেশি নারীর মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তাঁদের দুজনের দেশের বাড়ি বৃহত্তর সিলেটে বলে জানা গেছে।
এক দিনে করোনাভাইরাসে এত প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুর ঘটনায় কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোকে স্তব্ধ কমিউনিটিতে অনেক প্রবাসীর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বাংলা সংবাদমাধ্যমের ইলিয়াস খসরু, ফরিদ আলম, স্বপন হাই ছাড়াও চিকিৎসক ওসমানী, সাবেক ছাত্রনেতা শাহাব উদ্দিন, কমিউনিটি নেতা ফরহাদ আহমেদ চৌধুরীসহ অনেকের জন্য স্বজনেরা দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
আমেরিকায় সর্বশেষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৪৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজার ৪ জন। নিউইয়র্ক রাজ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত করোনায় নিউইয়র্কে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৫৯ হাজার ৬৪৮। এতে মৃত্যু হয়েছে ৯৬৫ জনের।