করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান আরও কমিয়ে আনা যায় কি না, সেটা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, করোনার টিকার প্রথম ডোজের পর দ্বিতীয় ডোজের সময় ১৫ বা ২০ দিন করা যায় কি না প্রধানমন্ত্রী তা দেখতে বলেছেন। যদি সম্ভব হয় সেটা করা হবে। বিভিন্ন দেশে ১৫ দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। এখন কারিগরি কমিটি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ করে টিকা প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বার্তা সংস্থা বাসসের গতকাল রোববারের খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ করোনার টিকার ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭৩ জন।
এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২ আর নারী ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ১১৪ আর নারী ২৫ লাখ ৭ হাজার ৩৫৯ জন। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ২২ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৯ ডোজ। এ ছাড়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৪ হাজার ৬৩৮ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৬ ডোজ।
বাসসের খবরে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৬৮ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯১ এবং নারী ৪১ লাখ ৫১ হাজার ১৩১ জন। এই টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৫১ লাখ ৯০ হাজার ৭৫৯ জন দ্বিতীয় ডোজ এবং ৫৮ লাখ ২৫ হাজার ২৬৩ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণকারী পুরুষ ৩২ লাখ ৫২ হাজার ১৮৩ এবং নারী ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৭৬ জন। আর প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী ৩৬ লাখ ১২ হাজার ৭০৮ জন পুরুষ এবং নারী ২২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৫ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।