জাপান ও বাংলাদেশ কি একই পথে হাঁটছে

জাপানের হোক্কাইদো প্রদেশের রাজধানী সাপোরোর বিখ্যাত আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াকওয়ে ‘অরোরা টাউন’–এর গত বৃহস্পতিবারের দুপুরবেলার দৃশ্য, বর্তমানের এই স্থানের সঙ্গে কোভিভ-১৯ পূর্ববর্তী পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো পার্থক্য নেই। ছবি: লেখক
জাপানের হোক্কাইদো প্রদেশের রাজধানী সাপোরোর বিখ্যাত আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াকওয়ে ‘অরোরা টাউন’–এর গত বৃহস্পতিবারের দুপুরবেলার দৃশ্য, বর্তমানের এই স্থানের সঙ্গে কোভিভ-১৯ পূর্ববর্তী পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো পার্থক্য নেই। ছবি: লেখক

ঠিক এই মুহূর্তে যখন লিখছি তখন জাপানে করোনাভাইরাস দ্বারা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৯ জন। এটা দুই মাসের একটু অধিক সময়ের পরিসংখ্যান, জাপানে উহানফেরত একজন ব্যক্তির প্রথম কভিড-১৯ ধরা পড়ে এ বছরের ১৬ জানুয়ারি, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট ৪৭।

ইতালিতে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয় জাপানের এক সপ্তাহ পর, চীনের পর এখন ইতালিকেই বলা হচ্ছে কোভিড-১৯–এর উপকেন্দ্র, পুরো ইতালি লকডাউন করার পরও প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ বড় বড় উন্নত দেশগুলোও লকডাউনে চলে গেছে। সেসব দেশেও কিছু নির্দিষ্ট প্রয়োজন ব্যতীত মানুষের চলাচল পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

কিন্তু এদিকে যদি জাপানের দিকে তাকাই তাহলে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখতে পাচ্ছি। কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্র, যেমন স্কুল–কলেজ, বড় পরিসরের বিনোদনকেন্দ্র, খেলাধুলার ইভেন্ট এ রকম অধিক মানুষের সমাগম হয় সেসব বন্ধ করা হলেও অন্য সব কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলছে। মানুষের চলাচলের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়নি। কোনো ধরনের ‘কোয়ারেন্টিন’ পরিস্থিতি নেই। অফিস, শপিং সেন্টার এমনকি পানশালা, ক্লাবও খোলা আছে, যেখানে খুব সহজেই ভাইরাস ছড়াতে পারে।

জাপানে কারও যদি ইচ্ছা করে মধ্যরাতে রেস্তোরাঁয় খেতে যাবে, সে সেটা পারছে। যদি ইচ্ছা করে সাইকেল নিয়ে পুরো সাপোরো শহর ঘুরে বেড়াব, সেটাও পারছে। এমন কোনো বাঁধাধরা বিধিনিষেধ এখনো আরোপ করা হয়নি যে সেটার কারণে খুব সহজেই জাপান ভাইরাসকে আটকে দিতে পারছে।

কেন এ রকম পরিস্থিতি, সেটা অনেক বড় একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন! তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে জাপানে সে রকমভাবে নতুন করোনাভাইরাসটি ছড়াচ্ছে না অথবা প্রশ্ন জাগছে জাপান কি সত্যিই অন্যান্য দেশের মতো ভয়াবহ রকমভাবে না ভুগেই পার পেয়ে যাবে? যেখানে পুরো পৃথিবীতে এখন প্রায় অচলাবস্থা বিরাজমান!

যদি একটু লক্ষ করি, একটা দেশে ঠিক যে যে উপাদানের কারণে কোভিড-১৯ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, তাহলে দেখা যায়, সেসব উপাদানের সবকিছুই জাপানের ক্ষেত্রে চরম মাত্রায় উপস্থিত। যেখানে কোভিড-১৯ উৎপত্তি সেই চীনের সঙ্গে জাপানের ঐতিহ্যগত সম্পর্ক, চীনের সঙ্গে এ দেশের যোগাযোগ অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয় বরং বেশিই বলা যায়। জাপানে বিদেশি নাগরিক অবস্থানের দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পরই দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চীন। এ দেশের শহরগুলো বিশাল এবং ঘনবসতিপূর্ণ। জীবন ও জীবিকার সন্ধানে এখানেও শহরগুলোতে মানুষ গাদাগাদি অবস্থায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে। পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল শহর জাপানের রাজধানী টোকিও এবং সেই তালিকায় দশম অবস্থানে আছে জাপানের আরেক জনপ্রিয় শহর ওসাকা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের মৌখিক নিষেধাজ্ঞা এবং প্রয়োজনে ঘরে বসে কাজ করতে বলার পরও শহরগুলোতে মানুষের ব্যস্ততা আগের মতোই চোখে পড়ার মতো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যে কারণে ইতালিতে মৃত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, সেটা হচ্ছে সে দেশের জনসংখ্যার বিশাল একটা অংশের বয়সের আধিক্য। সবচেয়ে বয়স্ক মানুষের বসবাস ইতালিতে এবং দেশটি সর্বোচ্চ বয়সের জনসংখ্যার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ইতিমধ্যে জেনে গেছি, বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছে বয়োজ্যেষ্ঠরাই, যাঁদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলক কম। এই তালিকায় জাপান প্রথম স্থানে অবস্থান করছে, জাপানের মোট ১২৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন জনসংখ্যার শতকরা ২৭ ভাগ মানুষের বয়স ৬৫ বা তারও বেশি, যারা মারাত্মক ঝুঁকিতে অবস্থান করছে।

এমন না যে জাপান নতুন এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকিয়ে দিতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের ওপর সামগ্রিকভাবে তেমন কোনো কঠিন বিধিনিষেধ ছিল না। শুধু সবাইকে ঐচ্ছিকভাবে ১৪ দিনের জন্য সেলফ কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার কথা বলা হচ্ছিল।

এই পরিস্থিতিতে এসে আবারও প্রশ্ন জাগে কেন জাপানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের এই দৃশ্যমান পার্থক্য। কেন মনে হচ্ছে এ দেশে যে পরিমাণ কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিল, আক্রান্তের সংখ্যাটা তার তুলনায় অনেক কম!

অলিম্পিকের কারণে জাপান আক্রান্তের তথ্য গোপন করেছে
যদি সমালোচনার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখি তাহলে ওপরের প্রশ্নের উত্তর খুবই সহজেই পাওয়া যায়। সেটা হচ্ছে জাপান যথেষ্ট পরিমাণে করোনাভাইরাস টেস্ট করছে না। খবরে এসেছে জাপানের কোভিড-১৯ টেস্ট করার যে সামর্থ্য রয়েছে তার ছয় ভাগের এক ভাগ টেস্ট করছে দেশটি, ব্যাপারটা এমন যেন যত কম টেস্ট করা হবে, তত কম রোগী ধরা পড়বে। এত দিন যে বিষয়টি ঝুলে ছিল সেটা অবশ্য এখন আর নেই, মনে করা হচ্ছিল টোকিও অলিম্পিক যাতে কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য সরকার এই ভাইরাসে আক্রান্তের তথ্যটা গোপন করে যাচ্ছে। এখন তো টোকিও অলিম্পিক স্থগিতই হয়ে গেল।

প্রতিবেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়া যেখানে কোভিড-১৯–এর রেকর্ডসংখ্যক টেস্ট করে রীতিমতো আলোচনার সৃষ্টি করেছে, সেখানে জাপানের এত কম পরিমাণে টেস্ট করাটা সন্দেহের চোখে দেখাটাই স্বাভাবিক। ওদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও নির্দেশনা দিয়েছে, ‘টেস্ট, টেস্ট, টেস্ট’।

জাপান শুধু সেসব লোকদের টেস্ট করছে, যাদের সম্পূর্ণভাবে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে এবং যারা আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছে। এখানে চাইলেই কারও শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না, সেটা ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা করে বলে দেওয়া যায়, তবুও হাসপাতালগুলোতে আমাদের বাংলাদেশের মতো সন্দেহভাজন সবার পরীক্ষা করা হচ্ছে না। কেবল তাদেরই পরীক্ষা করা যাচ্ছে, যাদের বিগত চার দিন বা তার অধিক সময় ধরে জ্বর অথবা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা আছে!

হোক্কাইদো রাজধানী সাপোরো টিভি টাওয়ার ওদুরি পার্কসংলগ্ন রাস্তায় শহরের স্বাভাবিক ব্যস্ততার স্থিরচিত্র। ছবি: লেখক



কিন্তু যদি সরকারের এই সীমিত পরিসরে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব বিচার করতে যাই, তবে তার বিপরীতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণগুলোও উপস্থাপন করা লাগবে। সে রকম কিছুর তথ্য এখনো পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ পায়নি। তেমন কিছু হলে নিশ্চয়ই হাসপাতালগুলোতে রোগীদের লাইন লেগে যেত। জাপানের কোভিড-১৯ পরিস্থিতিকে ষড়যন্ত্র, সৌভাগ্য, কার্যক্ষমতা এই তিনটা আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিতে বিচার করা যায়।

প্রথমত, গৃহীত পদক্ষেপ ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিচার করলে সরকারের সুবিস্তৃত সক্ষমতা এবং সব ক্ষেত্রে একচ্ছত্র প্রভাবের কথা বিবেচনায় রাখতে হবে। এই মুক্ত তথ্যের যুগে ইতালি কিংবা স্পেনের মতো ঘরে ঘরে মানুষ মরে পড়ে থাকলে সেটা গোপন করা অনেক কঠিন, অন্তত জাপানের রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেটা প্রায় অসম্ভবের পর্যায়ে পড়ে। আর যদি মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য প্রকাশের কথাও ধরে নিই, সেটাও জাপানে গোপন করে রাখা অনেক কঠিন।

বিশ্বের অন্যতম একটা সভ্য দেশ হিসেবে পরিচিত এ দেশের হাসপাতাল সেবা সুবিদিত, চিকিৎসার ক্ষেত্রে সে রকম অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা চিন্তা করতেও অসুবিধা হয়। যদি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অচলায়তন পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিই, তবে সেটা কিছুতেই গোপন থাকার কথা নয়। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টোকিও অলিম্পিক চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার কিন্তু গত মঙ্গলবার অলিম্পিক পিছিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ইতিমধ্যে আমরা পেয়েছি। অলিম্পিককে কেন্দ্র করে সত্যিই যদি কোনো ষড়যন্ত্র বা সে রকম কিছু হয়ে থাকে, আশা করতে পারি এখন আর সরকারের সে রকম প্রচেষ্টা থাকবে না, দ্রুত আসল চিত্র প্রকাশ পেতে থাকবে।

দ্বিতীয়ত, সার্বক্ষণিক যে দেশটি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকে, সে দেশকে সৌভাগ্যবান বলাটাও ঠিক হবে না। ২০০৯ সালের মহামারি সোয়াইন ফ্লুতে যেখানে দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ ভাগ মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, সেখানে সৌভাগ্যবশত ২০২০ সালের করোনাভাইরাস থেকে কম আক্রান্ত হবে, সেটা ভাবা ভুল।

অবশ্য জাপানে পূর্ব থেকেই বিদ্যমান কিছু জীবনাচরণ এখানে উল্লেখ করা যায়। এ দেশের সংস্কৃতিতে ব্যতিক্রম কিছু বিষয় আছে, যা অন্য দেশে নেই, যেমন ব্যক্তিগত দূরত্ব বজায় রেখে মাথা নিচু করে একে অপরের সঙ্গে সম্বোধন করা, সাধারণত এ দেশে করমর্দনের রীতি নেই কিংবা কেউ কারোর সঙ্গে কোলাকুলিও করে না। যেটা আমাদের দেশে খুব সাধারণ একটা ব্যাপার। এখানে রাস্তাঘাটে যত্রতত্র কেউ কখনো ময়লা ফেলে না। উন্মুক্ত স্থানে ভুলেও কেউ কখনো কফ কিংবা থুতু ফেলার প্রশ্নই ওঠে না, যেটা আমরা বাংলাদেশিরা হরহামেশাই করে থাকি।

শীতপ্রধান রাষ্ট্র হিসেবে এই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ফেস মাস্ক পরার রীতি প্রচলিত, যেটা ভাইরাস প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এখানে স্বাভাবিক সময়েই একজন অসুস্থ মানুষ সব সময় ফেস মাস্ক পরিধান করে, যাতে তার দ্বারা অন্য কেউ আক্রান্ত না হয়। এ ছাড়া এ দেশের বয়স্ক মানুষ অনেকটা একাকী জীবন যাপন করেন, এটাও বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ‘কোয়ারেন্টিন’ বা ‘সেলফ আইসোলেশন’–এর মতো কাজ করেছে।

তৃতীয়ত, কোভিড-১৯ প্রতিরোধী জাপান সরকারের তাৎক্ষণিক কিছু সিদ্ধান্ত ও সমন্বিত কার্যপ্রণালির বাস্তবায়ন সঠিকভাবে কাজ করেছে ধরে নেওয়া যায়। ভাইরাস আক্রমণের পর স্বল্প সময়ের মধ্যে সরকার স্কুল–কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে দেয়, যদিও এর জন্য সরকারকে অনেক সমালোচনার শিকার হতে হয়। কিন্তু এর মাধ্যমে পুরো দেশে একটা সতর্কীকরণ বার্তা পৌঁছে যায়। বড় পরিসরের খেলাধুলার ইভেন্ট, দর্শনীয় স্থানে যাতায়াত, ট্যুরিস্ট আকর্ষণীয় স্পট ইত্যাদি বন্ধ করে জনসমাগম কমিয়ে আনার প্রচেষ্টাও সহায়ক ভূমিকা কাজ করে। চীনের উহানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, ডায়মন্ড প্রিন্স স্ক্রুজশিপকে বন্দরে থামতে না দেওয়া এসবও উল্লেখ করার মতো সিদ্ধান্ত।

উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার সঙ্গে এ–সংক্রান্ত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণও দারুণভাবে কাজ করেছে। জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বারবার হাত ধোয়ার ব্যাপারের নানামুখী প্রচার, দূরত্ব বজায় রাখা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, ঘরে কাজ করার সুযোগ তৈরি, চাকরির সময়সূচি পরিবর্তন এসবও ভাইরাসের বিস্তার কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, যার ফলে সর্বোপরি সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠতে পারেনি।

তবে সবকিছুর পরও এই স্থিতিশীল অবস্থা আর কত দিন, কতক্ষণ কাজ করবে, সেটা একটা প্রশ্ন। সেদিন টোকিওর গভর্নর ঘোষণা করেছেন, প্রয়োজন না হলে কাউকে বাইরে বের না হতে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ভাইরাস প্রতিরোধে নতুন আরেকটি টাস্কফোর্স গঠন করেছেন। নতুন করে আমেরিকাসহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশের সঙ্গে আকাশপথে যোগাযোগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

এমনও হতে পারে জাপান সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দীর্ঘসূত্রতা করে ফেলছে। পুরো দেশের গণপরিবহনে এখনো মানুষে মানুষে গাদাগাদি অবস্থা। শীত শেষ হয়ে জাপানে এখন চেরি ফুল ফুটতে শুরু করেছে, চেরি ফুলের সৌরভ উপভোগ করার ঐতিহ্যগত ‘হানামি’ উৎসব শুরু হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতেও ভিড় করে মানুষ সেসব দেখতে যাচ্ছে।

পরিশেষে বলতে হয়, জাপানে সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে কি না অথবা পরিস্থিতি খারাপ হলে তারপর সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে।