ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা উৎপাদন করার অনুমোদন পেয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক। গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ প্রথম আলোকে আজ বুধবার এ তথ্য জানান।
ডা. আসিফ মাহমুদ জানান, তাঁরা এই টিকার নাম দিয়েছেন ‘বঙ্গভ্যাক্স’।
যেকোনো ওষুধ উৎপাদনের জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন হয়। অধিদপ্তর গ্লোব বায়োটেককে এই টিকা উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে।
টিকা উৎপাদনের পর গ্লোব বায়োটেক টিকার ট্রায়ালের অনুমোদনের জন্য চেষ্টা চালাবে বলে আসিফ মাহমুদ জানান।
গত বছরের ২ জুলাই নতুন করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) টিকা উদ্ভাবনের দাবি করেছে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান এই টিকা উদ্ভাবনের দাবি করল। প্রতিষ্ঠানটি গত ৮ মার্চ এই টিকা তৈরির কাজ শুরু করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকায় বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেকের নাম আছে। যে ১৫৬টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পূর্বাবস্থায় আছে, তার মধ্যে গ্লোবের তিনটি টিকা আছে। গত বছরের ১৮ অক্টোবর গ্লোব বায়োটেকের গবেষণা ও উন্নয়ন শাখার প্রধান আসিফ মাহমুদ জানিয়েছিলেন, প্রাণীর ওপর তাদের টিকার সফল পরীক্ষা হয়েছে। তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওই সময় গ্লোব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, তারা তিনটি টিকা উদ্ভাবন করেছে। এগুলো হলো ডি৬১৪ ভেরিয়েন্ট এমআরএনএ, ডিএনএ প্লাজমিড ও এডিনোভাইরাস টাইপ-৫ ভেক্টর।
করোনার টিকা প্রাপ্তি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে আজ গ্লোব এ অনুমোদন পেল।
বিশ্বের এগিয়ে থাকা টিকাগুলোর মধ্যে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে টিকা কিনছে বাংলাদেশ সরকার। এই টিকা সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মা। এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেক্সিমকো ফার্মা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।