করোনা সংক্রমণ বাড়ায় চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক
ফাইল ছবি

দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কিছুটা চিন্তিত। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের অনেকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।

আজ রোববার দুপুরে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ঢাকা শহরের পাঁচটি এলাকায় কলেরার টিকা দেওয়া উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জাহিদ মালেক বলেন, ইদানীং করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ সময় টেস্ট (করোনা পরীক্ষা) বেশি করা দরকার। তিনি বলেন, ‘আমরা কিছুটা চিন্তিত।’
বাংলাদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের চিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।

করোনার অমিক্রন ধরনের দাপট শেষে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে দেশে সংক্রমণ কমতে থাকে। গত ২৫ মার্চ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০-এর নিচে ছিল। শনাক্তের হারও ছিল ১ শতাংশের কাছাকাছি। তবে এ মাসের মাঝামাঝি থেকে আবার সংক্রমণ বাড়ছে।

আজ রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১ হাজার ৬৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় করোনায় মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আগের দিন করোনা শনাক্ত হয়েছিল ১ হাজার ২৮০ জনের। আর করোনায় মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও বেড়ে ১৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।

করোনার টিকা দেওয়ার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ পেয়েছেন এমন সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া প্রায় শেষ হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দু–এক দিনের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ পূর্ণ ডোজের আওতায় আসবেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক তাহমিদ আহমেদ, একই প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফেরদৌসী কাদরী।

আজ থেকে ঢাকার পাঁচটি এলাকায় (যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, সবুজবাগ, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর) কলেরার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। মুখে খাওয়ার এই টিকাদান চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত। এক বছরের বেশি বয়সীদের এই টিকা দেওয়া হবে। কর্মসূচির উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী কয়েকটি শিশুকে কলেরার টিকা খাওয়ান।