দেশে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে মৃত্যুও বাড়ছে। গত ডিসেম্বরে করোনায় মারা গিয়েছিলেন ৯১ জন। আর জানুয়ারি মাসে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩২২ জনের। জানুয়ারি মাসে মৃতদের ৭৩ শতাংশই করোনার টিকা নেননি।
করোনা পরিস্থিতির সাম্প্রতিক চিত্র তুলে ধরা হয় আজ বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে। তথ্য উপস্থাপন করেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
বুলেটিনে জানানো হয়, জানুয়ারিতে মৃত ৩২২ জনের মধ্যে ২৩৪ জন, অর্থাৎ ৭৩ শতাংশ করোনা টিকা নেননি। ২৭ শতাংশ বা ৮৮ জন টিকা নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন ১৮ জন আর দুই ডোজ নিয়েছিলেন ৬৮ জন। তবে মৃতদের মধ্যে মাত্র দুজন বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের টিকা পেয়েছিলেন।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ ধরে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত ৩০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে। দৈনিক ১০ থেকে ১৫ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছেন। হাসপাতালে রোগী বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপর চাপ তৈরি হবে।
করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক অমিক্রনের একটি উপধরন (বিএ.২) বিশ্বের ৫৭টি দেশে শনাক্ত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ তথ্য জানিয়েছে। আজকের বুলেটিনে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, কিছু গবেষণা ইঙ্গিত দিয়েছে, অমিক্রনের মূল ধরনের চেয়ে উপধরন ‘বিএ.২’ অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে। এতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। রোগীর সংখ্যা যেন না বাড়ে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর প্রায় দুই বছর ধরে চলা এ মহামারিতে সংক্রমণচিত্রে কয়েক দফা ওঠানামা দেখা গেছে। দেশে কিছুদিন ধরে যে হারে নতুন রোগী বাড়ছে, তাতে সংক্রমণের আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংক্রমণচিত্র বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, এ দফায় সংক্রমণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী। কবে নাগাদ এটি সর্বোচ্চ চূড়ায় গিয়ে স্থিতিশীল হবে এবং এরপর আবার নিম্নমুখী হবে, তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।