শপিং মল ও দোকানপাট আগামীকাল রোববার থেকে খোলার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। কিন্তু আজ শনিবার থেকে দোকানপাট খুলতে শুরু করেছেন বন্দরনগর চট্টগ্রামের অনেক দোকানি। তাঁদের দাবি, পণ্যসামগ্রী পরিষ্কার এবং প্রস্তুতির জন্য তাঁরা দোকান খুলেছেন।
আজ দুপুরে নগরের রেয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমন্ডি, জিইসি মোড় ও বহদ্দারহাট এলাকায় বেশির ভাগ দোকান খোলা দেখা যায়। এসব এলাকায় কাপড়, জুতা, বেল্ট, ব্যাগ, খেলনাসামগ্রীর দোকান খোলা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪ এপ্রিল থেকে আট দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’–এর ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর ২২ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউন দেওয়া হয়। এই লকডাউন চলাকালে গত শুক্রবার শপিং মল ও দোকানপাট চালুর বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আগামীকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিং মল চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়
এই সুযোগে এক দিন আগেই আজ থেকে দোকান খুলে বসেছেন দোকানিরা। আজ দুপুরে রেয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমন্ডি লেনে দেখা যায়, এখানকার অনেক কাপড় ও জুতার দোকান খোলা হয়েছে। দোকানিরা ক্রেতারা অপেক্ষায় ছিলেন। তবে অল্পসংখ্যক ক্রেতাকে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে।
এক দিন আগে দোকান খোলার বিষয়ে কাপড়ের দোকানি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. হাফিজ প্রথম আলোকে বলেন, লকডাউনের কারণে অনেক দিন দোকানপাট বন্ধ ছিল। দোকানের জিনিসপত্রে ধুলা জমেছে। দোকানও পরিষ্কার করা দরকার। আর প্রস্তুতির একটা বিষয় আছে। এসব কারণে এক দিন আগে দোকান খুলেছেন। তবে বেচাবিক্রির কোনো উদ্দেশ্য নেই বলে দাবি করেন তাঁরা।
আর জুতার দোকানি হাবিব সিকদার ও তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এমনিতেই করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য নেই। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন আগেভাগে খুলেছেন, যাতে টুকটাক বেচাবিক্রি করা যায়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে এক দিন আগে দোকান চালুর কোনো সুযোগ নেই। আর দোকান খোলার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নগরের অভিজাত বিপণিবিতানগুলো অবশ্য বন্ধ দেখা গেছে। নগরের প্রবর্তক মোড়ের মিমি সুপার মার্কেট ও আফমি প্লাজার মূল ফটক বন্ধ ছিল।