ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার বাসিন্দা ঊর্মি। পুরো নাম ঊর্মি সুলতানা। সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তিনি। করোনাকালে কলেজ বন্ধ, তাই তিনি বাড়িতে থাকছেন। একপর্যায়ে তাঁর মাথায় ভাবনা আসে, পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষকে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতন করতে ভূমিকা রাখতে পারেন।
ঊর্মি ব্র্যাকের সামাজিক ক্ষমতায়ন কর্মসূচির (সিইপি) আওতায় নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে পুরুষ ও ছেলেদের সম্পৃক্তকরণ প্রকল্পের ইয়ুথ কমিটির সদস্য। কর্মসূচি থেকে তিনি জেনেছেন করোনাভাইরাসের লক্ষ্মণ সম্পর্কে। হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি, কাশির শিষ্টাচার, ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার নিয়ম এবং এই মহামারি প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কেও জেনেছেন তিনি।
মাস্ক পরার উপকারিতা, হাত ধোয়ার নিয়ম, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্পর্কে ব্র্যাকের একজন কর্মী যেভাবে মানুষকে সচেতন করেন, ঠিক সেভাবেই নিজ এলাকায় সচেতনতা তৈরি করে চলেছেন ঊর্মি। গত এপ্রিল মাস থেকেই এই কাজ করছেন তিনি। তাঁর মা-বাবা, ভাই-বোনও এই কাজে তাঁকে উৎসাহ দেন।
ঊর্মি আশপাশের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারপত্র, স্টিকার বিতরণের মাধ্যমে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় সিইপির ইয়ুথ কমিটির অন্য সদস্যও তাঁর সঙ্গে থাকেন। সাধারণত বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রামের মানুষের বাড়িতে পাওয়া যায়। তাই এই সময়টাকেই জনসংযোগের জন্য বেছে নিয়েছেন তাঁরা। বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের একপ্রকার ‘হাতে-কলমে’ই হাত ধোয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন তিনি। তাঁর দেখাদেখি অনুপ্রাণিত হয়ে ইয়ুথ কমিটির অন্য সদস্যরাও নিজ নিজ এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজে আরও মনোযোগী হয়েছেন।
ঊর্মি এভাবেই নিজেকে সারা জীবন মানবতার সেবায় নিয়োজিত রাখতে চান।