নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো বলেছেন, চীন নয়, মূলত ইউরোপ থেকেই আমেরিকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই ইতালিতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় একই সময়ে অন্তত ২৮ হাজার করোনায় আক্রান্ত মানুষ আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে অন্তত ১০ হাজার জন শুধু নিউইয়র্কেই।
গভর্নর বলেন, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির বিমানবন্দরগুলোতে ইউরোপ থেকে ১ হাজার ৩০০ ফ্লাইট এসেছে। এসব ফ্লাইটে যাত্রী ছিলেন প্রায় ২২ লাখ। এদের মাধ্যমেই আমেরিকায় করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে বলে এখন মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, শুরুতে চীনের সঙ্গে ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার মধ্য দিয়ে সামনের দরজা ঠিকই বন্ধ করা হয়েছিল। তবে পেছনের দরজা খুলে রাখা হয়েছিল। যখন টের পাওয়া গেছে, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন দেখতে হবে এমন যাতে আর না হয়।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য নিউইয়র্কের গভর্নর বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কত দ্রুত দূর হবে, তা নির্ভর করবে আমরা কেমন আচরণ করছি তার ওপর। রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা এর মধ্যেই ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এক মাসের মধ্যে ২৪ এপ্রিল সবচেয়ে কম মৃত্যু যোগ হয়েছে। ২৩ এপ্রিল ৪২২ জনের মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়েছে। রাজ্যে ১ হাজার ২৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সংক্রমণ নিয়ে। নিশ্চিত সংক্রমণ পাওয়া গেছে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৬০ জনের।
নিউইয়র্ক রাজ্য ধাপে ধাপে খুলে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন গভর্নর কুমো। আগামী ১৫ মে পর্যন্ত পুরো রাজ্যে লকডাউন আদেশ বলবৎ আছে। কুমো সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এখনই স্বাভাবিক ব্যবসা-বাণিজ্যে ফিরে গেলে সংক্রমণ দ্রুত ফিরে আসবে। আসছে সপ্তাহের মধ্যেই নিউইয়র্ক পর্যায়ক্রমে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ এপ্রিল বলেছেন, করোনাভাইরাস নির্মূলে আলোর ব্যবহার বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করার কথাটি আগেরদিন তিনি ব্যঙ্গ করেই বলেছিলেন। তাঁর এ বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।