করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় ১৪ এপ্রিল একজন চিকিৎসকসহ আরও সাত বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় ১৩৪ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। তাঁদের মধ্যে তিনজন চিকিৎসক।
১৪ এপ্রিল মৃত্যু হওয়া বাংলাদেশিরা হলেন আমেরিকান চিকিৎসক ব্রুকলিন হাসপাতালের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ শামীম আল মামুন, শরীফ আহমদ, এনাম উদ্দিন, বীণা মজুমদার, এম রহমান মুক্তা, রানা বেগম ও একজন নারী। তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি।
লং আইল্যান্ডের নর্থ শোর হাসপাতালে চিকিৎসক শামীম আল মামুনের মৃত্যু হয়। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজের ১৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ছাড়া নিউইয়র্কে ১৪ এপ্রিল এক দিনে ৩ হাজার ৭৭৮ জনের মৃত্যুর হিসাব যুক্ত হয়েছে। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধু নগরীর পাঁচ বরোতেই ৭ হাজার ৯০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নগরীর মেয়র বিল ডি ব্লাজিও বলেছেন, প্রতিটি মৃত্যু বেদনার। হাসপাতালে ভর্তির হার কমে এলেও অসুস্থ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। নগরীর অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেশি। কৃষ্ণাঙ্গ, হিস্পানিকসহ বাংলাদেশি জনবসতি এলাকা করোনার আতঙ্কের এলাকা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
মেয়র ব্লাজিও আরও বলেন, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কঠিনভাবে অনুসরণ করতে হবে। নগরী ১০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটে আগ্রাসী প্রচারণায় নেমেছে। বহু জাতিগোষ্ঠীর এ নগরীতে ১৫টি ভাষায় প্রচারপত্র বিলি করা হচ্ছে। এর মধ্যে বাংলা ভাষায়ও একটি প্রচারপত্র ও বিস্তারিত সচেতনতামূলক পরামর্শ প্রচার করা হচ্ছে।
মেয়র জানিয়েছেন, আগামী মে মাসের আগেই নগরীতে সপ্তাহে ৫০ হাজার লোকের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার সুবিধা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
আমেরিকার ৫০টি অঙ্গরাজ্যের সব কটিতেই করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যেই আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তবে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গরাজ্য নিউইয়র্ক। সেখানেই আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, আমেরিকায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৮৬। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৬ হাজার ৪৭ জনের।