অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে ১৬ জানুয়ারি আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. আসাদুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পল্টন থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে মির্জা আব্বাস কারাগারে। অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সম্প্রতি মির্জা আব্বাস, তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। ১৬ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেওয়া মির্জা আব্বাসকে সেদিন কারাগার থেকে আদালতে হাজির করানোর জন্য পরোয়ানার আদেশ চেয়ে আবেদন করে দুদক। আদালত মির্জা আব্বাসকে সেদিন হাজির করার পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার যে সম্পদ দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এ সম্পদ তাঁর স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অর্জন করেছেন। আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
মির্জা আব্বাস ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই পরিমাণ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। দুদকের দাবি, তদন্তে অবৈধ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করার কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। দুজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৭(১) ধারা, দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় এবং সেই সঙ্গে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৮; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০০৯ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
মির্জা আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। আফরোজা আব্বাস বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি।