বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম একশানের একটি পরিবেশনা। ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর
বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম একশানের একটি পরিবেশনা। ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহর উদ্‌যাপন

কালো, নীল, মেরুন, কমলা ও আকাশি রঙের মুখোশ পরা পাঁচজন তরুণ–তরুণী। তাঁরা বসে আছেন একটি ক্ষমতার চেয়ারকে ঘিরে। মূল চরিত্রে আছেন একজন মুখোশধারী স্বৈরাচার, যিনি সবাইকে ক্ষমতার প্রলোভন দেখিয়ে সেই চেয়ারটিতে বসতে প্ররোচিত করেন। কিন্তু যখনই কেউ সেই চেয়ারটিতে বসতে চান, তিনিসহ অন্যরা তাঁকে আর বসতে দেন না। এভাবে পাঁচজনই সেই চেয়ারটিতে বসতে চেয়েও কেউ বসতে পারেননি। শেষে মূল চরিত্রে থাকা ব্যক্তিটি মুখোশ উন্মোচন করেন এবং সেই স্বৈরাচার ব্যক্তিটিই চেয়ারে বসেন।

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান দেখছেন দর্শকেরা। ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর

এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাইম একশানের একটি পরিবেশনা। বিজয় দিবস উপলক্ষে রোববার ‘রক্তে রাঙা বিজয় আমার’ শিরোনামে এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সব সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

টিএসসির পায়রা চত্বরে রোববার বেলা তিনটা থেকে শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত।

অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করছেন শিল্পীরা। ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর

বিজয় দিবস উপলক্ষে টিএসসিসহ আশপাশের এলাকা যেন নতুন করে সাজে। অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে কবিতা আবৃত্তি করা হয়। হয় গান পরিবেশনা। দলীয় গান পরিবেশন করে ব্যান্ডদল ও কৃষ্ণপক্ষ।

বিজয় দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে জাতীয় পতাকা ঝোলানো হয়েছে। করা হয়েছে আলোকসজ্জা। ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর

টিএসসিতে অনেকেই বিজয়ের এই আয়োজন দেখতে আসেন। তাঁদের মধ্যে একজন আবু বাকের মজুমদার। তিনি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের একজন ছাত্রনেতা। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গত ১৫ বছর বাংলাদেশে এক ফ্যাসিবাদী শাসন ছিল, যে কারণে এ দেশের বিজয় উদ্‌যাপনও ছিল একরৈখিক। সেখানে সব মানুষের অংশগ্রহণ ছিল না। চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থানের পর মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেই বিজয় দিবসকে উদ্‌যাপন করছে।