শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচারপ্রক্রিয়া স্থগিতের দাবির প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিক। শুক্রবার গণমাধ্যমে ওই বিবৃতি পাঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক শিল্পী নিসার হোসেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিভিন্ন দেশের নোবেল পুরস্কার বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের সদস্যের লেখা খোলা চিঠি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত খোলা চিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের ওপর স্পষ্ট হুমকি হিসেবে পরিলক্ষিত হচ্ছে। চিঠিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের বিবেকবান নাগরিক হিসেবে আমরা বাংলাদেশের বিচারপ্রক্রিয়ার ওপর এ ধরনের অযাচিত হস্তক্ষেপের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’
ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ওই চিঠির বক্তব্য বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) স্বীকৃত শ্রমিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এই চিঠিতে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারকের মাধ্যমে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ বিচারের যে আহ্বান জানানো হয়েছে, তা বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকে হেয় প্রতিপন্ন করার শামিল বলে আমরা মনে করি।’
খোলা চিঠিতে স্বাক্ষরকারী ব্যক্তিদের দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, বিবৃতিদাতারা তাঁদের নিজ নিজ দেশের মতো বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থাকেও নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলার সুযোগ দেবেন এবং সম্মান করবেন।’
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইনজীবী, সাংবাদিক, কথাসাহিত্যিক, কবি, লেখক, সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মানবাধিকারকর্মী, নারীনেত্রীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা। তাঁরা হলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক অনুপম সেন, অধ্যাপক সৎ কুমার সাহা, অধ্যাপক আতিউর রহমান, ইমেরিটাস অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান, অধ্যাপক বুলবন ওসমান, ইমেরিটাস অধ্যাপক শিল্পী রফিকুন নবী, অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক মাহফুজা খানম, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, অধ্যাপক আবুল বারকাত, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, কবি নির্মলেন্দু গুণ, অধ্যাপক বজলুল হক খন্দকার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, অধ্যাপক আব্দুল বায়েস, সাবেক বিচারপতি মমতাজউদ্দীন আহমেদ, আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অধ্যাপক মুনতাসির মামুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ আলী জহির, অধ্যাপক এ কে এম মনোয়ার উদ্দিন আহমদ, নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, সংসদ সদস্য ও মানবাধিকারকর্মী অ্যারমা দত্ত, নারীনেত্রী রোকেয়া কবীর, সাংবাদিক আবেদ খান, কবি নূহ আলম লেনিন, সাংবাদিক হারুন হাবীব, অধ্যাপক শামীম বসুনিয়া, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, অভিনেত্রী লাকী এনাম, কার্টুনিস্ট শিশির ভট্টাচার্য, চলচ্চিত্রকার মানজারে হাসিন মুরাদ, নৃত্যশিল্পী লায়লা হাসান, নাট্যজন ম. হামিদ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান, সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত, মমতাজ উদ্দীন ফকির, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, মেজর জেনারেল (অব.) নাসির উদ্দিন, নাট্যব্যক্তিত্ব সুবর্ণা মুস্তাফা, লেখক শাহরিয়ার কবির, কবি তারিক সুজাত, কবি অসীম সাহা, নাট্যজন পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, কবি হারিছুল হক, সাংস্কৃতিত ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুস, ছড়াকার খালেদ হোসাইন, লুৎফর রহমান রিটন, অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক এ কে এম শাহনেওয়াজ, অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, অধ্যাপক প্রাণ গোপাল, অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, অধ্যাপক মাহবুবার রহমান, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান আকন্দ, অধ্যাপক শরিফ এনামুল কবীর, অধ্যাপক আবদুল খালেক, অধ্যাপক হারুন অর রশীদ, অধ্যাপক আফজাল হোসেন, অধ্যাপক মতিয়ার রহমান হাওলাদার, অধ্যাপক ইফতেখার উদ্দিন, অধ্যাপক হারুন-উর-রশীদ আশকারী, অধ্যাপক মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান, অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, অধ্যাপক আলী আকবর, অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আলাউদ্দিন, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, অধ্যাপক আলাউদ্দিন, অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক এম এ মতিন, অধ্যাপক শহীদুল্লাহ্ সিকদার, অধ্যাপক মো. নুরুল্লা, অধ্যাপক আব্দুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, অধ্যাপক সেকান্দর আলী, অধ্যাপক সহিদ আকতার হুসাইন, অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, অধ্যাপক আমির হোসেন, অধ্যাপক সেকান্দর আলী, অধ্যাপক আবুল কাশেম, সাংবাদিক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাশ, প্রকৌশলী আব্দুস সবুর খান, নূরুল হুদা, মঞ্জুরুল হক মঞ্জুর, অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার, অধ্যাপক এ এ মামুন, নুজহাত চৌধুরী, মামুন আল মাহতাব, শিল্পী আবুল বারক আলভী, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, নাট্যশিল্পী চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেত্রী, তারানা হালিম, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, অধ্যাপক কাজী শহীদুল আলম, এহতেশামুল হক চৌধুরী, জামাল উদ্দীন চৌধুরী, অধ্যাপক কামরুল হাসান, অধ্যাপক এম শামীম জেড বসুনিয়া, প্রকৌশলী নুরুল হুদা, আবদুস সবুর, অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, প্রকৌশলী এস এম মনজুরুল হক মঞ্জু, প্রজন্ম ৭১–এর সভাপতি আসিফ মুনীর, সম্পাদক কাজী সাইফুদ্দীন আব্বাস, অধ্যাপক আব্দুল বাছির, অধ্যাপক আব্দুস ছামাদ, অধ্যাপক সীমা জামান, অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, অধ্যাপক জিয়া রহমান, অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান, অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক হাফিজ মুহম্মদ হাসান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, অধ্যাপক এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, শাহরিয়ার নবী, শিল্পী আহসান হাবিব নাসিম, অধ্যাপক রাশেদ তালুকদার, অধ্যাপক আক্তারুল ইসলাম, অধ্যাপক মোশতাক আহমেদ, অধ্যাপক এস এম সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল গনি, রঞ্জন কর্মকার, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন আহমেদ, শিল্পী শেখ আফজাল হোসেন, শিল্পী অধ্যাপক ফরিদা জামান, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ, অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, অধ্যাপক শামীম কায়সার, অধ্যাপক আহমেদ রেজা, অধ্যাপক সেকান্দার চৌধুরী, অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী, অধ্যাপক আবদুল হক, আহমদ সালাউদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সুকান্ত ভট্টাচার্য, অধ্যাপক জসীম উদ্দিন, অধ্যাপক মনজুর আলম, অধ্যাপক অসীম দাশ, অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকার, সঙ্গীতা ইমাম, চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহউদ্দিন শাকের, নাট্য ব্যক্তিত্ব ইসরাফিল শাহিন, নৃত্যশিল্পী শিমুল ইউসুফ, অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক জিনাত হুদা, সংগীতশিল্পী শামা রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম, আবৃত্তিকার আহকাম উল্ল্যাহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফাল্গুনী হামিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফসানা মিমি, অধ্যাপক বরেন চক্রবর্তী, কবি রুবী রহমান এবং অধ্যাপক নিসার হোসেন।