দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। চলমান কারফিউ আরও শিথিল করেছে সরকার। এ অবস্থায় সরকারি-বেসরকারি অফিস আগামীকাল বুধবার থেকে চার ঘণ্টার জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।
কারফিউ জারি হওয়ায় গত রোববার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত সাধারণ ছুটি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু কারফিউ শিথিল হওয়ার পর সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোও খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে স্বাভাবিক সময়ের মতো অফিস চলবে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আজ প্রজ্ঞাপন জারি করে বলেছে, আগামীকাল ও পরদিন সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসের জন্য বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস ও বন্দরগুলোর কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ডাকসেবা এবং এ-সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন। এ ছাড়া হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এই সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মী, চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী, ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম বহনকারী যানবাহন ও কর্মীরা এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবেন।
জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসগুলো এই সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে, যা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে। এর মানে হলো জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিস ও কর্মীরা তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ী চলবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট এবং ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক আলাদা নির্দেশনা দেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আজই ব্যাংকগুলোর কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলেছে, যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সব ব্যাংকের কিছু শাখা বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে ও সীমিত আকারে সেবা প্রদান করবে। এ সিদ্ধান্ত কেবল আগামীকাল বুধবার ও পরশু বৃহস্পতিবারের জন্য। ব্যাংকগুলো নিজেরা নির্ধারণ করবে কোন কোন শাখা খোলা রাখবে।