জাতীয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াড

কৌতূহলী প্রশ্ন আর পদার্থবিদ্যার মজার পরীক্ষণে কাটল দিন

ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। নওয়াব আলী সিনেট ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

চলন্ত গাড়িতে মশা ওড়ে কেন? দুটি কৃষ্ণগহ্বরের (ব্ল্যাকহোল) মধ্যে সংঘর্ষ হলে কী ঘটবে? বাতাসেরই–বা কেন ছায়া নেই? বেলা বয়ে যায় কিন্তু খুদে পদার্থবিদদের প্রশ্ন আর শেষ হয় না। কৌতূহলোদ্দীপক এমন অসংখ্য প্রশ্নে মুখর ছিল ১৩তম ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো জাতীয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের শেষ দিন।

আজ শনিবার শেষ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী সিনেট ভবনে সকাল থেকে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও জাতীয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াড টিমের কোচ অধ্যাপক আরশাদ মোমেন শিক্ষার্থীদের এমন নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।

খুদে পদার্থবিদদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন দুই অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও অধ্যাপক আরশাদ মোমেন

এবারের ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় পর্বে সারা দেশ থেকে আঞ্চলিক পর্বের প্রায় ৯০০ বিজয়ী অংশ নিয়েছিল। অনুষ্ঠানের শেষ দিন অধ্যাপক জাফর ইকবাল পদার্থবিজ্ঞানের সব মজার মজার পরীক্ষা করে শিক্ষার্থীদের দেখান। তাতে শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে চলে এই পর্ব।

প্রশ্ন করছে এক খুদে পদার্থবিদ

এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু হলে একসঙ্গে একাধিক হাত ওঠে। সেখান থেকে কাউকে বেছে নিতে কিছুটা দ্বিধায় পড়েন দুই অধ্যাপক। তবে ভালো প্রশ্ন করে কেউ কেউ জাফর ইকবালের কাছ থেকে বইও উপহার পান। কিছু সময় চলার পর মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দেওয়া হয়। এরপর পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠান হয়।

এবার ফিজিক্স অলিম্পিয়াড হয়েছে চার ক্যাটাগরিতে। ৫ম থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণি বা সমমানের শিক্ষার্থীরা ‘এ’ ক্যাটাগরি, ৭ম থেকে ৮ম শ্রেণি বা সমমানের শিক্ষার্থীরা ‘বি’ ক্যাটাগরি, ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি বা সমমানের শিক্ষার্থীরা ‘সি’ ক্যাটাগরি ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি বা সমমানের শিক্ষার্থীদের রাখা হয়েছিল ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে।

শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে মজার মজার ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করে দেখান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল

চলতি বছর জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠিত হবে ৫৩তম ফিজিক্স অলিম্পিয়াড। এ লক্ষ্যে প্রতিবারের মতো এবারও দেশব্যাপী ১৩তম ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো ফিজিক্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হচ্ছে। প্রথমে অনলাইনে হয়েছে বাছাইপর্ব। এ পর্বের বিজয়ীরা অংশ নেয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের আঞ্চলিক পর্বে।

জাতীয় উৎসবের বিজয়ীদের নিয়ে ক্যাম্প আয়োজন করা হবে। ক্যাম্প শেষে বাছাই করা প্রার্থীদের নিয়ে গঠিত হবে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড দল। সে দলটিই জাপানের টোকিওতে অনুষ্ঠেয় ৫৩তম ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।

এ অলিম্পিয়াডের আয়োজন করছে বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি। পৃষ্ঠপোষকতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ব্যবস্থাপনায় রয়েছে প্রথম আলো। এ ছাড়া ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে থাকছে কিশোর আলো ও বিজ্ঞানবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন বিজ্ঞানচিন্তা আর টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে আছে বিডিকম।