ফেনীতে গত মঙ্গলবার বাসায় আগুনে দগ্ধ আশীষ চন্দ্র সরকার (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
আশীষ রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে আশীষ মারা যান। ইনস্টিটিউট সূত্র প্রথম আলোকে এই তথ্য জানায়।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, আশীষের শরীরের ৮২ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাঁকে হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
ভাই পরিতোষ চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, আশীষের মরদেহ আজই বাড়িতে নিয়ে শেষকৃত্য করা হবে।
একই ঘটনায় দগ্ধ আশীষের স্ত্রী টুম্পা রানী সরকার (৩০) ও একমাত্র সন্তান রিক সরকার (৯) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, টুম্পার শরীরের ৪৭ শতাংশ ও রিকের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। দুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ইতালি ভবন-২-এর পঞ্চম তলার বাসায় আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আশীষ, টুম্পা ও রিক। পরে তিনজনকেই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ ব্যক্তিদের ভাষ্য, ভাত রান্নার জন্য গ্যাসের চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে দুই কক্ষের বাসাটিতে আগুন ধরে যায়।
প্রতিবেশীদের ভাষ্য, চিৎকার শুনে তাঁরা গিয়ে দেখেন, শরীরে আগুন নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামছেন তিনজন।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে বলা হয়, রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসর বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগে বলে ধারণা তাঁদের। তবে চুলার গ্যাস থেকেও আগুন লেগে থাকতে পারে।
তিন ভাই এক বোনের মধ্যে আশীষ সবার বড় ছিলেন। তিনি চাকরির সুবাদে ফেনীতে থাকতেন। তিনি ফেনীতে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ বিভাগে কর্মরত ছিলেন। পরিতোষ জানান, তাঁদের পরিবারের সবাই ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় থাকেন।