‘সুলভ’ মূল্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রি শুরুর ৪৫ থেকে ৫০ মিনিটেই সব বিক্রি হয়ে যায়। তাই অনেকেই খালি হাতে ফেরেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি মোড়ে এই চিত্র দেখা যায়।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে আজ বিকেল চারটার দিকে খামারবাড়ির প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
উদ্বোধনের পর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রাঙ্গণ থেকে ফ্রিজিং ভ্যানগুলো রাজধানীর ২০টি স্থানের উদ্দেশে রওনা দেয়। তার মধ্যে খামারবাড়ি মোড়ে ১ নম্বর ভ্যান থেকে ৪টা ২০ মিনিটের দিকে বিক্রি শুরু হয়। ৫টা ১০ মিনিটের দিকে সব পণ্য শেষ হয়ে যায়।
গাড়িচালক ফারুক হোসেন যখন আসেন, তখন খামারবাড়ি মোড়ে এসব পণ্য কিনতে অনেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে। তবে তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন। কেন চলে যাচ্ছেন, জানতে চাইলে ফারুক বলেন, ‘আমি ডিম ও মুরগির মাংস কিনব। তাঁরা (বিক্রয়কর্মী) বললেন, যাঁরা লাইনে আছেন, তাঁরাই পাবেন না। তাই আমি আর লাইনে দাঁড়ালাম না। কাল আবার আসব।’
সুমি গোমেজ এসে দাঁড়াতেই বিক্রয়কর্মীরা জানালেন, সব শেষ। সুমি বলেন, আজ না পেলেও তিনি আরেক দিন আসবেন।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। গরু, খাসি ও মুরগির মাংস আধা কেজি করে কেনা যাচ্ছে।
আরেক গাড়িচালক আলমগীর কবির গিয়ে দেখেন সব বিক্রি হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘২০ মিনিট আগে দেখলাম দুধ–ডিম–মাংস বিক্রি হচ্ছে। গাড়ি রেখে এসে দেখি সব শেষ।’ এ রকম অনেকেই এসে দুধ, ডিম ও মাংস কিনতে পারেননি।
খামারবাড়ি বিক্রয়কেন্দ্রের ক্যাশিয়ার মো. মোকাদ্দেস ইসলাম বলেন, ‘আজকে প্রথম দিন। তাই অল্প করে সবকিছু এনেছিলাম। ৪৫ থেকে ৫০ মিনিটেই সব বিক্রি হয়ে গেছে। আগামীকাল থেকে বেশি করে পণ্য আনা হবে।’
এখানে আজ ৬০ কেজি গরু, ৮ কেজি খাসি, ২৫ কেজি মুরগি, ৬০ লিটার দুধ ও ২০০ পিস ডিম আনা হয়েছিল বলে জানান মোকাদ্দেস ইসলাম।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান সাধারণ মানুষ। তবে তাঁরা বলছেন, এসব পণ্যের মূল্য আরেকটু কম হলে ভালো হতো।
গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড (চামড়া ছাড়া) ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা ও ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। গরু, খাসি ও মুরগির মাংস আধা কেজি করে কেনা যাচ্ছে।
প্রথমে ক্রেতাকে লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা দিয়ে টিকিট নিতে হয়। এরপর সেই টিকিট দেখিয়ে ফ্রিজিং ভ্যান থেকে নির্দিষ্ট পণ্য নিতে হয়।
রমজানজুড়েই প্রাণিসম্পদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল নয়টায় এসব পণ্য বিক্রি শুরু হবে। রাজধানীর ২০টি স্থানে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। স্থানগুলো হলো সচিবালয়সংলগ্ন আবদুল গণি রোড, খামারবাড়ি, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটি, মিরপুর ষাট ফুট রাস্তা, আজিমপুর মাতৃসদন, পুরান ঢাকার নয়াবাজার, আরামবাগ, নতুনবাজার, মিরপুরের কালশী, খিলগাঁও রেলগেট, নাখালপাড়ার লুকাস মোড়, সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার, মোহাম্মদপুরের বছিলা, উত্তরার দিয়াবাড়ি, যাত্রাবাড়ী, গাবতলী, হাজারীবাগ, বনানীর কড়াইল বস্তি, কামরাঙ্গীরচর ও রামপুরা।