পাঁচ সিটিতে নির্বাচন নয়, ভোটাভুটির অনুশীলন হয়েছে: সুজন

সম্প্রতি দেশের পাঁচ সিটি করপোরেশনে অনুষ্ঠিত নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক ছিল না বলে মনে করে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। তাদের ভাষ্য, ভোটারদের আগ্রহও ছিল কম। নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, তা বলা যাবে না। যা হয়েছে, তা ভোটাভুটির অনুশীলন।

আজ বুধবার পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ীদের তথ্য বিশ্লেষণ ও নির্বাচন মূল্যায়নবিষয়ক এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সুজনের পক্ষ থেকে এমন মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়।

সম্প্রতি খুলনা, রাজশাহী, গাজীপুর, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। তিনি বলেন, পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীন নির্বাচন অবাধ হতে পারে এবং যা জাতীয় নির্বাচনকেও উৎসাহিত করবে। এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনারও স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তবে সুজন মনে করে, এসব দাবি যৌক্তিক নয়। কারণ, নির্বাচন হলো বিকল্প থেকে বেছে নেওয়ার ক্ষমতা, অধিকার ও সুযোগ। তাই যেখানে বিকল্প থাকে না, সেখানে নির্বাচনও হয় না। এসব নির্বাচনে যথাযথ বিকল্প ছিল না।

সুজন বলছে, এই নির্বাচনগুলোকে অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণ বলা যেতে পারে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বড় রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সব নির্বাচনকে সরকার শান্তিপূর্ণ করতে চেয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির প্রভাব নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর পড়ে থাকতে পারে।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সুজনের নির্বাহী সদস্য শাহদীন মালিক বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান সরকার প্রায় ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে। সেখানে একটি রাজনৈতিক দল রাষ্ট্রকে দখল করে ফেলেছে। বাংলাদেশও এখন সে পর্যায়ে চলে গেছে।

সুজনের তথ্যমতে, পাঁচ সিটির মেয়র ও কাউন্সিলরদের ৬৭ শতাংশই ব্যবসায়ী। জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে খুলনায় সবচেয়ে বেশি এবং সিলেটে সবচেয়ে কম ব্যবসায়ী।
এ প্রসঙ্গে শাহদীন মালিক বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়রদের আয়ের উৎস ব্যবসা। মেয়রদের ব্যবসা করার নীতি থাকা উচিত নয়।

পাঁচ সিটিতে যা হয়েছে, সেটা নির্বাচনের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সুজন চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সিকান্দার খান।