আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অনশন করেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে অনশন করেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে অনশন, স্মারকলিপি ইনকিলাব মঞ্চের

আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদ মোড়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা অনশন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ নামের একটি সংগঠন। এ সময় তারা সড়কে বসে পড়লে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ ছিল। অনশন শেষে বিকেল সাড়ে চারটার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের একজন একান্ত সচিবের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন তাঁরা।

এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানা হলে ২৯ ডিসেম্বর বেলা একটায় সচিবালয় ঘেরাও এবং অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি। তাঁদের অন্য দুটি দাবি হলো জাতীয় পর্যায়ের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত খুনি-গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের কমিটির প্রত্যেক ‘সন্ত্রাসীকে’ অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং জুলাই বিপ্লবের প্রত্যেক যোদ্ধার জীবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইনকিলাব মঞ্চের ব্যানারে ‘জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গণহত্যাকারী সব আওয়ামী সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে জুলাই যোদ্ধাদের গণ–অনশন’ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু হয় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যেতে চাইলে কাকরাইলে পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য শরিফ ওসমান হাদি।

পরে বেলা একটার দিকে কাকরাইল মসজিদ মোড়ের সড়কে বসে অনশন শুরু করেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা–কর্মীরা। তখন সংগঠনের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে আইন বা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অথবা ছাত্র উপদেষ্টাদের একজন এসে আমাদের লিখিত দাবি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে গ্রহণ করবেন এবং এই সিদ্ধান্ত কত দিনের মধ্যে হবে, তা যতক্ষণ না জানাবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ছাত্র-জনতা এখানে অনশন করবে।’

বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত ইনকিলাব মঞ্চের নেতা–কর্মীরা সড়কের এক পাশে অবস্থান নেন। এরপর তাঁরা সড়কে বসে পড়েন। বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সেখানে অনশন চলে। এ সময় ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে অনশনস্থলে আসেন প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব-২ সজীব এম খায়রুল ইসলাম। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে নিহত রেহানের বোনের মাধ্যমে দাবিসংবলিত স্মারকলিপি তাঁর হাতে তুলে দেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এরপর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে রাস্তা ছেড়ে দেয় ইনকিলাব মঞ্চ।