কয়েক সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহে রাজধানীর জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এর মধ্যে আজ পুরান ঢাকায় বহু প্রতীক্ষার বৃষ্টি ঝরেছে। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আজ রাত নয়টার কিছু আগে হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কয়েক মিনিট বৃষ্টি ঝরে। সামান্য সময়ের এই বৃষ্টি স্বস্তি নিয়ে এলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী না হওয়ায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন।
পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, শনির আখড়া এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা বৃষ্টি হওয়ার খবর জানিয়েছেন। যাত্রাবাড়ী এলাকার এক গৃহবধূ প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ৮টার পর আকাশে বিদ্যুৎ চমকায়। পরে কয়েক মিনিট বৃষ্টি হয়। ঠান্ডা বাতাস আসায় শরীরটা জুড়িয়েছে।
ঢাকার উপকণ্ঠ নারায়ণগঞ্জেও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। রাত পৌনে ৯টার দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। এ সময় আকাশে মেঘের গর্জন শোনা যায়। বিদ্যুৎ চমকাতেও দেখা গেছে। অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজতে রাস্তায় নেমে আসেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দক্ষিণ সস্তাপুর এলাকার বাসিন্দা মার্জিয়া রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এবারের মতো এমন তাপপ্রবাহ আগে কখনো পড়েনি। প্রচণ্ড গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বৃষ্টির অপেক্ষায় ছিল সারা দেশের মানুষ।
একই এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী নুসরাত জাহানও অনেক দিন পর বৃষ্টির দেখা পেয়ে আত্মীয়স্বজন নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা ভিজতে পারেননি।
তবে সিদ্ধিরগঞ্জের ভুঁইগড় এলাকায় বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভিজে গেছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ অফিসের সহকারী পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভুঁইগড় এলাকায় বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট ভিজে গেছে। বৃষ্টিতে মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
পুরান ঢাকায় বৃষ্টির বিষয়ে জানতে চাইলে আবহাওয়ার অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদন মনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরাও শুনেছি পুরান ঢাকায় কিছুটা বৃষ্টি হয়েছে। তবে ওই এলাকায় আমাদের পর্যবেক্ষণ যন্ত্র না থাকায় আমরা বৃষ্টির বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি।’
আগামীকাল শুক্রবার বৃষ্টি হতে পারে কি না সে প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার হোসেন বলেন, আজকের মতো কালকেও ঢাকা বিভাগের কয়েক জায়গায় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।