তিন দিনেও রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের কাগজপত্র খুঁজে পায়নি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাশ বলেন, নথির খোঁজ করা হচ্ছে। নথি পাওয়া গেলে বোঝা যাবে, ভবনটির কত তলার অনুমোদন ছিল।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজউকের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তন্ময় দাশ।
গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের সাততলা ও পাঁচতলা দুটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুইন মার্কেটের সাততলা ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ তন্ময় দাশ বলেন, অনেক পুরোনো এই ভবনের নথি ম্যানুয়ালি রাখা। গতকাল বুধবার শবে বরাতের ছুটি থাকায় নথি খুঁজতে দেরি হয়েছে। কত তলার পারমিশন ছিল, সেটা নথি দেখলে জানা যাবে।
দুর্ঘটনার তিন দিনেও নথি পাওয়া যাচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তন্ময় দাশ বলেন, ২০১৯ সালের মে মাস থেকে রাজউকে নতুন নকশাগুলো ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। আগের নথিগুলোরও সফটকপি তৈরি করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে তন্ময় দাশ বলেন, রাজউকের কমিটি গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত পরিদর্শন করেছে। আজ দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে প্রতিবেদন দিবে কমিটি। ভবনটি মেরামত বা সংস্কার করা যাবে নাকি অপসারণ করতে হবে, তা কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকবে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে শহরের যত ভবনের বেজমেন্টে রেস্টুরেন্ট ও মার্কেট রয়েছে, সেটির তালিকা করা হবে বলে জানান রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ)। তিনি বলেন, রাজউকের ৮টি জোনের ২৪টি সাব–জোনেই সরেজমিন পরিদর্শন করে তালিকা করা হবে। এসব মার্কেট ও রেস্টুরেন্টে ভেন্টিলেশন রয়েছে কি না, অনুমোদন নেওয়া হয়েছে কি না, এই বিষয়গুলো দেখা হবে।
গতকাল রাজউক জানিয়েছিল, সিদ্দিকবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা ভবনটি ৪৫ বছরের পুরোনো।