ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম ওরফে সোহেলসহ (৩২) ১১ জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আটক অপর ব্যক্তিদের মধ্যে মেহেদী হাসান ওরফে পলাশ (৪৩) কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অন্যরা সবাই যুবদল ও ছাত্রদলের সদস্য।
বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর ১১ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বুধবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিরা নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতার পরিকল্পনায় জড়িত। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নীলক্ষেতের একটি ছাপাখানায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, তাজা বোমা, গান পাউডারসহ নাশকতায় ব্যবহৃত নানা আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ হাজার প্রচারপত্র জব্দ করা হয়েছে।
তবে পুলিশের এই বক্তব্য নাকচ করেছেন ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ডিবি পুলিশ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ধরে নিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার রাতে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি খোরশেদ আলম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখার সভাপতি ওমর ফারুক মামুনকে ডিবি ধরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা।
ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিটি কর্মসূচি পালন করেন বলে দাবি করেন আরিফুল। তিনি বলেন, ‘কোনো ধরনের সহিংসতার সঙ্গে আমরা জড়িত নই। মূলত বিএনপির এক দফা দাবির আন্দোলনে ভীত হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের দোসর রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে নির্বিচারে গণতন্ত্রকামী ছাত্র, যুবক, শ্রমিক, কৃষককে গ্রেপ্তার করছে।’