পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির ব্যস্ততা ছিল। ফলে অনেকের পক্ষেই দিনের বেলায় পরিবার, স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানো বা আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই সন্ধ্যায় অনেকেই দিনের ব্যস্ততা শেষে রাজধানীর হাতিরঝিলে ঘুরতে এসেছেন।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার পর দেখা যায়, হাতিরঝিলের বেদি ও বেঞ্চে বসে লোকজন গল্পগুজব করছেন। শিশু, কিশোর, প্রাপ্তবয়স্ক, বৃদ্ধ—সব বয়সী মানুষই দেখা গেল। পরিবেশও সুন্দর। ঝিল ছুঁয়ে অনবরত বইছে বাতাস।
হাতিরঝিলের বেদিতে বসে ছিলেন পাঁচ বন্ধু। তাঁদের চারজনের বাসা বাড্ডায়, আর একজনের এয়ারপোর্ট এলাকায়। তাঁদের মধ্যে মেহেদী হাসান নামের একজন প্রথম আলোকে বলেন, আমাদের পাঁচজনের মধ্যে চারজনের কোরবানির ব্যস্ততা ছিল। তাই সারা দিন বের হওয়ার সুযোগ পাইনি। ব্যস্ততা শেষে বিকেলে এসে এখানে বসেছি। বাসার কাছে, খোলামেলা, আবার বাতাস—সব মিলিয়ে ঈদে আড্ডা দেওয়ার এটাই ভালো জায়গা।
মো. আলমগীর পেশায় গাড়িচালক। থাকেন ঢাকার তেজগাঁও এলাকায়। আজ সারা দিন মালিকের গরু কোরবানি নিয়ে ব্যস্ততা ছিল তাঁর। কিন্তু ঈদের দিন কোথাও ঘুরতে যাবে না, তা মানতে নারাজ তাঁর ছোট্ট মেয়ে। হাতিরঝিলের বেদিতে মেয়েকে নিয়ে বসে থাকা আলমগীর প্রথম আলোকে বলেন, বউ বাসায় মাংস রান্নায় ব্যস্ত। তাই মেয়েকে নিয়ে একটু ঘুরতে এলাম।
ওসমান গণি ও মো. ইমরান খান, তাঁরা দুজন বন্ধু। পাশাপাশি সহকর্মীও। তাঁরা দুজনই একটি মাদ্রাসার শিক্ষক। সন্ধ্যা রাতে তাঁরা হাতিরঝিলে একটি বেঞ্চে বসে গল্প করছিলেন। তখন বাতাসও বইছিল বেশ।
ওসমান গণি প্রথম আলোকে বলেন, ভোর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পশু কোরবানি দেওয়ায় তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন। পরে বাসায় একটু বিশ্রাম নিয়ে হাতিরঝিলে ঘুরতে এলেন। বাতাস থাকায় তাঁদের ভালো লাগছে বলেও জানান তিনি।
যাঁদের কোরবানির ব্যস্ততা ছিল না, তাঁরা হাতিরঝিলে আড্ডা, গল্পে ঈদের দিন উদযাপন করছেন।