দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর পর গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এ থেকে আয় হয়েছে ২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার সকালে পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ডিএমটিসিএল।
গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-৬) চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন তিনিসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও অতিথিরা ট্রেনে চড়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও আসেন। পরদিন থেকে সাধারণ যাত্রীদের জন্য টিকিট কেটে যাতায়াত শুরু হয়। শুরুতে প্রায় এক মাস শুধু উত্তরা ও আগারগাঁও স্টেশনের মধ্যে যাত্রী ওঠানামার সুযোগ রাখা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন থেকেও যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারছেন। মেট্রোরেল দিনে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা চলাচল করছে।
এম এ এন সিদ্দিক জানান, দেশে প্রথম পাতাল পথে মেট্রোরেল নির্মাণকাজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার। এর নাম দেওয়া হয়েছে এমআরটি লাইন-১। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা ১১টায় পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ এমআরটি লাইন ১-এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। এ সময় তিনি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন। সেখানে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলে জানান ডিএমটিসিএলের এমডি।
মেট্রোরেলের লাইন-১ এর দুটি অংশ। কমলাপুর রেল স্টেশনের কাছ থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশ হবে পাতাল পথে। আর নর্দ্দার যমুনার ফিউচার পার্কের কাছ থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ (পূর্বাচল এলাকায়) পর্যন্ত হবে উড়াল পথে। প্রধানমন্ত্রী মূলত পিতলগঞ্জের ডিপো উন্নয়নের কাজের উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দেবেন।
ডিপো উন্নয়নের কাজের জন্য জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও দেশীয় ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে ডিএমটিসিএল।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, এমআরটি লাইন-১–এর পুরো কাজ ১২টি ভাগে (প্যাকেজের মাধ্যমে) বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রকল্পের নথি অনুসারে বলছে, পাতাল ও উড়াল মিলে মেট্রোরেল লাইন-১–এর মোট দৈর্ঘ্য ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত পাতাল অংশের দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার। অন্যদিকে নতুন বাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত নির্মাণ হবে উড়ালপথ, যার দৈর্ঘ্য ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার। পাতাল পথে স্টেশন হবে ১২টি এবং উড়ালপথে থাকবে ৭টি। সব মিলিয়ে স্টেশন হবে ১৯টি।