বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দের চিত্র তুলে ধরে সমীক্ষা প্রকাশ অনুষ্ঠানের অতিথিরা
বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দের চিত্র তুলে ধরে সমীক্ষা প্রকাশ অনুষ্ঠানের অতিথিরা

বাজেটে পানি-স্যানিটেশনে বরাদ্দ ২২% কমেছে, এটি উদ্বেগজনক

অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ২০২৪-২৫–এর বাজেটে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) খাতে বরাদ্দ সাড়ে ২২ শতাংশ কমেছে। জলবায়ু ও নগরায়নের কারণে পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি ঝুঁকির প্রবণতা বাড়ছে। গ্রাম ও শহরাঞ্চলে ওয়াশ–ঝুঁকির হটস্পটগুলোর বিস্তারের এই সময়ে বরাদ্দ কমানো গুরুতর উদ্বেগের কারণ।

ওয়াশ খাতে বাজেট বরাদ্দ নিয়ে সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন হোসেন জিল্লুর রহমান। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) এবং ওয়াটারএইডের নেতৃত্বাধীন ওয়াশ জোট এর আয়োজন করে। ঢাকার ধানমন্ডিতে পিপিআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সমীক্ষা তুলে ধরা হয়। দুটি প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে বাজেটে ওয়াশ খাতের বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

বাজেট পর্যবেক্ষণের এ সমীক্ষায় গ্রাম ও শহরের পাশাপাশি ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে ক্রমাগত বরাদ্দের বৈষম্যও তুলে ধরা হয়। এই ক্রমাগত বৈষম্য মোকাবিলার জন্য প্রকল্পভিত্তিক বরাদ্দের পর্যালোচনার সুপারিশ করা হয়।
বাজেট পরিকল্পনায় ওয়াশ খাতে দৃষ্টি না সরানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হোসেন জিল্লুর রহমান।

আজকের অনুষ্ঠানে বলা হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে শহরগুলোতে ফেকাল স্লাজ ম্যানেজমেন্ট (এফএসএম) এবং গ্রামীণ এলাকায় নগরায়ণে নিরাপদ সাইট স্যানিটেশন পরিষেবাগুলোর (এসএমওএসএস) প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, টেকসই পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশনের জন্য বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন ওয়াশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য প্রযুক্তি এবং সর্বোত্তম অনুশীলন গ্রহণে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা বৃদ্ধি করা অপরিহার্য।

আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পরিচালক (প্রোগ্রামস অ্যান্ড পলিসি অ্যাডভোকেসি) পার্থ হেফাজ শেখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি লিড ফাইয়াজউদ্দিন আহমদ।