রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গত ১৯ ডিসেম্বর ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মা-শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঢাকা রেলওয়ে থানায় হওয়া হত্যা মামলাটির থানা-পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), র্যাবসহ বিভিন্ন ইউনিট ছায়া তদন্ত করছে। তবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্তের সঙ্গে যুক্ত কোনো ইউনিটই ট্রেনে আগুনের ঘটনায় জড়িত কাউকে শনাক্তের কথা জানাতে পারেনি।
এর আগে ২১ ডিসেম্বর সন্দেহভাজন নয়জনকে আটকের কথা জানায় র্যাব-১। তবে এ ঘটনায় তাঁরা জড়িত কি না বা যারা আগুন দিয়েছে, তাদের চেনেন কি না, সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে র্যাব জানিয়েছিল, ট্রেনে আগুন দেওয়ার এ ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।
র্যাব-১–এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশতাক আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে র্যাব-১ নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যস্ত। নির্বাচন শেষে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ট্রেনের আগুন দেওয়ার এ ঘটনার আবার তদন্ত করবেন।
গত ২১ ডিসেম্বর কমলাপুর রেলস্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৩-এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, চারজনের নাম জানতে পেরেছেন তাঁরা। তাঁদের দুজন সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী। বাকি দুজন ভাসমান (নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই) ব্যক্তি।
তবে র্যাব কর্মকর্তা আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ আজ প্রথম আলোকে বলেন, মোহনগঞ্জ ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত যাদের নাম জেনেছিলেন, তাদের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে পাওয়া ছবি মেলেনি। ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় করা মামলা নিয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।
গত ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুনের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের নাম পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। এর কয়েক দিন পর তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বোমা বানানোর কারিগর হিসেবে গ্রেপ্তার মুকিত নামে যুবদলের এক নেতার কাছ থেকে ট্রেনে অগ্নিসংযোগকারীদের বিষয়ে পাওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
ডিবি তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা কাউকে শনাক্ত করতে পারেননি। ট্রেনে আগুনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ তাঁরা পেয়েছিলেন। কিন্তু ট্রেনে আগুন দিচ্ছেন কেউ, এমন কোনো ফুটেজ পাওয়া যায়নি।